কবিতার চরণে চরণে দাঁড়ি কমাহীন
সিক্ত আর্তনাদ,
মুখ থুবড়ে শুয়ে থাকে এ গ্রহের সব থেকে
পুরনো আবাদ।
মাটিতে পড়ে থাকে আভিজাত্য ও প্রাচুর্যের
অহংকারী সমীরণ,
ঘোলা স্ফীতকায় স্রোতে ভেসে যায়
জীর্ণ রোদন।
ঘূর্ণি ঝড়ের পাকে পাক খেয়ে দোদুল্যমান
পাখ পাখালির বাসা,
ক্লান্তির শেষে নুয়ে পড়ে আদুরে গাছটা
নিয়ে অদম্য আশা।
ভাঙা চৌকাঠের দরজা খুলে নত হয়
ভবিষ্যতের আঙিনায়,
উপলেপন খোলা দেওয়ালের আলিঙ্গন থেকে
পরজীবী মুছে যায়।
বহু বছরের ধুলো জমা খামে বন্দী প্রেম
বেড়িয়ে আসে,
এখনও বিজলীর আলোয় মন বৃষ্টিতে হারায়
সুপ্ত আবেশে।
হয়তো ঘুম ভেঙে ভুলে যাবে
গত রাত্রির ব্যথা,
হয়তো আশ্রয় হীন এ খুঁজে দেবে ছাদ
আগামী সভ্যতা।
হয়তো এ প্রলয়ের ভীষণ দাপটে খুলে যাবে
প্রকৃত মুখোশ,
হয়তো ভেঙে চুড়মাড় করে মিলবে বিশুদ্ধ
সমাজের খোঁজ।।