অসীম শূন্যে দিক হারা পাখিটাও জানে
সমস্ত নীল আকাশ টা তারই,
এঁকে বেঁকে বয়ে চলা নদীটাও জানে
তার গন্তব্য সেই সমুদ্র মোহনায়।
অসহায় আশা হত মানুষ টা বোঝেনা
তার অন্তরের শক্তি কতটা,
অসভ্য থেকে একদিন মানুষ হয়েছিলাম
আসতে আসতে পাথরে পাথর ঠুকে।
গাছের পাতা বাকল দিয়ে তৈরী করেছিলাম
লজ্জা নিবারণের পোশাক,
জঙ্গলী পশুদের থেকে নিজেদের বাঁচাতে
গুহার ভিতরে সংসার পেতে ছিলাম।
তৈরী হয়েছিল পরিবার সমাজ
সাহসী হয়ে আগুন জ্বালিয়ে ছিলাম,
"সভ্যতার চরম শিখরে যেতে কতো কিছুইনা
নতুন নেশায় নতুন করে আবিষ্কার করলাম"।
কিন্তু আজ এই উন্নত সভ্যতায় দাঁড়িয়ে
হয়েছি বর্বর, স্বার্থপর আর অসভ্য।
আজ মানুষগুলোর শিরা উপশিরায় বইছে
দূষিত রক্তের উল্টো স্রোত,
মস্তিষ্কের মধ্যে চলছে নোংরা মানুষিকতা
হারিয়ে যাচ্ছে স্বচ্ছ মনুষ্যত্বের মানবিকতা।
এই সুন্দর সভ্যতাকে নিষ্ঠুর ভাবে গলাটিপে
হত্যা করছে কিছু লোভী, বর্বর কামুক মানুষ।
সুযোগ সন্ধানী মুখোশ পরা পশু সুলভ
কাপুরুষ গুলো, ঢিল খাওয়া ভীমরুলের
চাক থেকে ছুটে এসে রুচি হীন
অসভ্যের মতো রক্ত কালিতে পৃথিবীর ক্যানভাসে
এঁকে দেয় সভ্যতার নগ্ন ছবি।
তৈরী করে দিকে দিকে যুদ্ধ জয়ী পতিতা পল্লী,
সমস্ত আঁধার কে খুনকরে সাহসের পরিচয় রাখে।
এরাই ইদানিং আমাদের সমাজের ধারক বাহক।
আমাদের ভয়ার্ত চোখের মাঝেই খুঁজে পাই
ঐ জানোয়ারদের সাহসী চোখ।
প্রতিটি ভোরে কাঁচা রোদে হয়তো ঘুম ভাঙে
নিয়ে স্বপ্নটা অমলিন, এই তো সব ঠিক আছে।
আমরাই তো আজ উন্নত নব্য প্রযুক্তির যুগে
জ্ঞান বুদ্ধি যুক্ত সত্যি কারের মানহুস।।