জমির আলের ফাঁকে ফাঁকে একান্তে বোনা স্বপ্ন গুলো
তন্দাহীন অস্তিত্বের সংজ্ঞাবলিতে হয়তো অপূর্ণই রয়ে গেল।
আমি জীবনের অপেক্ষা বৃক্ষের চুড়ায় বসে গুনেছি প্রহর,
দিন ভেঙ্গে চোখের দিগন্তে দেখেছি আদিবাসী মেঘের বহর।
ফলাফল ব্যাতিরেখেই ছুটে গেছি লাঙল হাতে অস্তিত্বের জমিতে,
মৌসুমীর জলকনায় উঠেছে ফসল সেই সব শুষ্ক উদ্যান হতে।
কর্দমাক্ত শরীরে সকলের মুখে তুলে দিয়েছি বাঁচার রসদ,
তবুও উচ্ছিষ্টের মতোই সমাজে পতিত হয়েছি প্রতিনিয়ত।
হয়তো আমাকে দেখে নিষ্পাপ শূন্য সুখেরাও হাসে চারপাশে,
স্বরচিত প্রত্যয় নিয়ে ঋণের ভারে জাগি হিম শীতল বাতাসে।
এক চিলতে অযাচিত হাসি জোর করে ধরে রাখি ঠোঁটের কোণে,
নোনা ঘামের এক সমুদ্র ক্লান্তিতে নিজেকে খুঁজি মনে মনে।
পেঁজা উড়ন্ত মেঘেদের দীনতায় করেছি খালের জল সিঞ্চন,
শহুরে নিয়ন আলোয় হারিয়ে গেছে জনাক রাতের মনোরঞ্জন।
কৃষক আমি, খাটি আমি, নেই মান সম্মান অর্থ প্রাচুর্য শক্তি বল,
সাধের ভূবন গড়তে দু-হাত দিয়ে খেটে চলেছি আজও অবিরল।
হয়তো আমাদের মতো পাঁজড়ের হাড়ে তৈরী হয় সৌন্দর্যের অট্টালিকা,
কিন্তু কেউ রাখে না মনে, পৃথিবীতে আমরাও যে একই প্রাণের সুতোয় গাঁথা।
মানুষে মানুষেই গড়ে বিভেদ, ব্যবধান, বঞ্চিত হয় সুখ আর অধিকার,
হত্যা করে মানবতা, রুদ্ধ করে মানুষের সুচিন্তিত বিশ্বাসী সভ্যতার।।