যদি এমন হতো!
চাঁদে জ্যোৎস্না নেই,
দর্শকের ভিড় নেই,
মঞ্চে অভিনেতা নেই,
পাণ্ডুলিপিতে বর্ণমালা নেই,
বাগানে গাছ নেই,
ভূগোলে ভৌগলিক অবস্থান নেই,
খনিতে খনিজ নেই,
আঙুল কাটলে রক্ত নেই,
জমিতে ফসল নেই,
নদীতে মাছ নেই,
তৃষ্ণায় জল নেই,
জীবাশ্মে প্রাণের চিহ্ন নেই,
কাউকে কিছু বলার নেই।


তবুও একটা কবিতা হয়তো আমি লিখতাম,
কেন জান?
আমি যে ভালোবাসি তোমায়,
ভালোবাসার কোনো অন্তনেই, ভালোবাসায় আছে ছন্দ।
জীবনের ছন্দ, হৃদয়ের ছন্দ, যা কবিতার অংশ,
মসির কালিতে হয়ে ওঠে রঙিন, উচ্ছ্বসিত প্রাণ চঞ্চল।
কবিতার নায়িকা যে তুমি,
যেখানে থাকে একটা সোনালী ভোর,
একটা তপ্ত দুপুর,
একটা গোধূলির স্নিগ্ধতা,
তারায় ঢাকা একটা আকাশ জ্যোৎস্নায় মোড়া রাত।
প্রত্যেকটা চরণে থাকবে একটা উন্মুক্ত ময়দানের
গল্প শোনানোর মতো আগ্রহ নিয়ে বসে থাকা।
হ্যাঁ, একটা সাধারণ প্রেমের উপন্যাসের চেয়ে কম নয়।
যেখানে থাকবে ব্যক্তিগত ভাবে
শুধু তুমি আর কেবলই আমি!
আর থাকবে একটা উপসংহার,
যদি এমন হতো!