স্পর্শ পেতেই শিহরণ জেগে ওঠে শরীরটাতে
পাইন বীথির ভিড়ে একটু গা ছমছমে অনুভব।
ক্রমান্বয়ে দূরত্ব বেড়ে চলে দুদিকের কিনারার
জানি না খুঁজে পাবো কিনা গন্তব্যের ঠিকানা।
নেশায় যখন শরীর জুড়ে স্বপ্নের ভেলা ভাসে
গোধূলির আলোয় আঁধারের গান ভেসে আসে।
খসে প’ড়া বোঁটার কষে আনকোড়া একলা ফল
লামাহাট্টার জঙ্গলের ভেতর অদ্ভুত লাগে ভূতল।
সুনসান নীরবতা নিয়েই স্বচকিতে উপরে ওঠা
অসহায়, অজানাকে ভালোবেসেই চলতে হয় একা।
এখনো যারা চোখে দেখিনি ওই পূর্ণ প্রশান্তির কুণ্ড
এই দুর্গম পথ পাড়ি দিতে থমকে দাঁড়ায় অনেকেই
এক স্বচ্ছ আয়নার সামনে দেখি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা
বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়ে কোথায় চলেছি স্বাধীন ইচ্ছায়
বেতালের তালে শুনি অমৃতের মিছে ভ্রান্ত শব্দ
অগত্যা হারাই পথ, কেন যে এমন করে ডাকো?
তখন শুধু নিজের ভেতর নিজের শক্তি আহরণ
সে কেমন ইন্দ্রিয় সুখ অজানাকে চেনার জন্য,
অদ্ভুত মায়াবী পাহাড়ী পথ সহসাই ফনা তোলে;
অবশেষে গন্তব্যে পৌঁছানোর পরে পাই পরিতৃপ্তি।।