চোখ ঝলসানো বিবস্ত্র শহরটা, আজ সত্যি কেমন যেন নিশ্চুপ,
নিকোটিনের বিষ মাখা নিঃশ্বাসে এখন শুধু পচা মৃতের গন্ধ।
অলিতে গলিতে বসে থাকা কুকুরের জিহ্বায় ক্ষুধার আস্ফালন।
চারিদিকে ভেসে বেড়ায় শ্বাস রুদ্ধ করা শোকের বাতাস,
ঘাম রক্তের ছোটাছুটি এখন কৃষ্ণ গহ্বরে নিচ্ছে বিশ্রাম।
মাঝে মাঝে শোনা যায় মৃত্যুপুরীর উপযাতকের গলিত চিৎকার।
জন্ম কষ্টের দাগ মুছে যেতে বসেছে অশুভ শক্তির কাছে,
মহামারীর করাল গ্রাসে চারিদিকে অসংখ্য ক্ষুধিত মানুষের লাশ,
আর শুধু পারোলৌকিক পাপাগ্নি জ্বলে উঠছে শ্মশানের পোড়া গুহায়।
এখনও চলছে পক্ষপাতিত্ব, হয়নি চেতনার সূক্ষ্ম জাগরণ।
জানা নেই অন্যায়ের এই ধূসর জগতে কবে হবে ন্যায়ের অবতরণ!
কবে আসবে ফিরে সূর্যের কিরণে মুক্তি রাঙা আলোক ভোর?
উন্নত প্রযুক্তির যুগেও ছুটে চলেছি পিছনে, মেলেনি যুক্তি।
খোলা আকাশের ক্যানভাসে আজও পরাজয় এর ছবি, মেলেনি মুক্তি।
আমরা শ্রেষ্ঠ জীব হয়েও নিজেদের ভুলেই হয়েছি বন্দি।
আজ আমাদের নির্ভয়ে বাঁচার অধিকার নেই,
আজ আমাদের জীবনের নিরাপত্তা নেই,
আজ আমাদের মুক্ত ভাবে ঘোরার অধিকার নেই,
আজ আমাদের মনের বিশুদ্ধতা নেই,
আজ আমাদের নিজস্ব কোন শক্তি নেই।
আজ আমাদের নিজেদের যুদ্ধ নিজেদের কাছে।
বাঁচার যুদ্ধ, স্বাধীনতার যুদ্ধ, মুক্তির যুদ্ধ, শান্তির যুদ্ধ।
ভেদাভেদ ভুলে মুক্তি কামী আত্মার জন্য সত্য মিথ্যার যুদ্ধ।
আশা গুলো আহত হয়েও উদ্দেশ্যহীন ভাবে বাঁচার ইচ্ছে জাগায়,
পরিচ্ছন্ন আবহাওয়া, সু-নির্মল দক্ষিণা বাতাসের নিদারুণ প্রত্যাশায়,
সমাজের বঞ্চিত প্রাণরা এতো দিনে শিখলো কি তাদের মুক্তির পথ?
প্রশ্ন করো নিজেকে, যোগ বিয়োগের হিসাব মেলাতে পারলে কি জীবনের সাথে।।