এসে ছিলে শরৎ-এর শ্বেত শুভ্র কাশকে নিয়ে
দূর্গা মাতার সাথে,
আবার এলে মাঘ মাসে গাঁদা ফুলের ধরণীতে
হার কাঁপানো শীতে।
ছোট বেলায় একদিনই পেতাম পড়াশোনার ছাড়
এই সরস্বতী পুজোতে,
হিম শীতল কুয়াশার ভোরে জমা হতাম স্কুলে
ফল কেটে আল্পনা দিতে।
পুষ্পাঞ্জলি দিতাম "জয় জয় দেবী চরাচর সারে
কুচযুগ শোভিত মুক্তাহারে"......
এভাবেই হতো প্রভাতী অঞ্জলি বাগ দেবীর চরণে
উপবাসে নিষ্ঠা ভরে।
রঙ বেরঙের পোশাকে স্কুল বাড়ি টা থাকতো
হই হুল্লোড়-এ ভরা,
পুজোর প্রসাদ বিতরণের পরে থাকতো
খিচুড়ি খাওয়ার তাড়া।
টেক্স বইয়ের পাতার ভাঁজে রেখে দিতাম
সযতনে প্রসাদী ফুল,
দেখতাম তোমায় প্রথম পরা অনভ্যস্ত শাড়িতে
আঙুলে কাটতে খোলা চুল।
তারপর বন্ধুদের সঙ্গে কত গল্প কথা
এদিক ওদিক ঘোরা,
নস্টালজিয়া সেই মুহূর্ত গুলো আজ কোথায় গেল
মন যে ভেবে সারা।
ঘুমচোখে সকালবেলা বইগুলো সব তাকে রেখে
মুঠোফোনে হচ্ছে পড়া,
বন্ধ আজ স্কুল, পঠন-পাঠন তাই দেবীর চরণে
নেই বই দেবার তারা।
পেন্সিল পেনের ব্যবহার যে আজ চলেই গেছে
ভাবেনা কেউ সে কথা,
স্ক্রিন টাচেই সব লেখা হয় দুনিয়ার কথা
নেই বানান ভুলের বকা।
এখন আর স্কুলে যাওয়ার নেইকো তাড়া
বাড়িতে হয় পুজো,
ই-দুনিয়ায় সব যে হয়েছে নতুনত্ব-তবুও
মা আছে একই আজও।।