জানি না তুমি শুনতে পাচ্ছ কি না!
হ্যাঁ হ্যাঁ এই যে আমি তোমাকেই বলছি।
আমার তো ভীষণ মনে পড়ে সেই মুহূর্ত গুলো,
নিষিদ্ধ আনন্দে লেপ্টানো সুখের দিন গুলো।
ককটেলের হীম শীতল গ্লাসের গা বেয়ে টুপটাপ
ঝরে পড়া জলের ফোঁটায় উত্তেজিত দুটি কণ্ঠনালী।
ছিঁড়তে থাকা বালিশের ওয়ারের সুতোয়
আটকে থাকে নির্লজ্জ অস্থির দুটি হাত।
শিরা উপশিরায় জ্বলন্ত শিখায় পুড়তে থাকে
বুনো কামুক নখে চেড়া অগোছালো আবরণ টুকু।
বুকের উপর আঁকতে থাকে সভ্যতার মানচিত্র,
সম্ভ্রম ও শ্লীলতার পেয়ালায় শেষ চুমুক দিয়ে।
অপ্রতিভ সর্ব গ্রাসী নজরে জানিয়ে দেয় আগামী দিনে
ঘুম হীন চোখে জেগে থাকার আগাম পূর্বাভাস।
আশাহত ক্ষণিকের নেশায় ভেসে চলে জোয়ারের জলে
নিরুপায় দীক ভ্রষ্ট তরীটি, আশা ভরসার কাণ্ডারি যে তুমি।
আগামীর বীজ বপিত হয় প্রতিনিয়ত একটু একটু করে,
হ্যাঁ, তাই তো আমি তোমায় বলছি, তুমি কি শুনছো?