আজও শৈশবের খেলার দিনগুলো খুব মিস করি
বারে বারে তারা স্মৃতির ঘরে লুকোচুরি খেলে,
টুকি দিয়ে একছুটে গাছের আড়ালে লুকিয়ে পড়ে  
আর হঠাৎই পিছন থেকে ধাপ্পার ছোঁয়ায়
সেই শৈশবের স্বপ্ন গুলো গোপনে ভেঙে দেয় ।
দু-চোখ বেঁধে আনমনে আজও হারিয়ে যায়
কানামাছির সেই সুরে "যাকে পাবি তাকে ছোঁ- কানামাছি ভোঁ ভোঁ",
কিন্তু অতীত গুলো আজ আর ছুঁতে পারিনা
শুধু পড়ে থাকে বুকের অস্ফুট আর্তনাদ গুলো।
হয়তো বুড়ি বাসন্তী খেলায় সঙ্গীকে হাত ধরে বারকরে নিয়ে
যাবার দিনগুলো শুধু মনের মনিকোঠায় বন্দি থাকে।
একাকী ঘর থেকে কেউ যেন শীরকামান দেগে নুনের ঘর ঘুরে এসে
বলবে আমি আছি, তোকে জীবনে হারতে দেবো না।
ঘুম ভাঙা শীতের বিকেলে স্যান্ডেল খুলে
গাছের ডালে আবডালে চড়ে ঝাল ঝুপ্পার দিনগুলো
নয় ঘরা, ছয় ঘরার এক্কা দোক্কা খেলার ভিড়ে
আজ প্রতিদিনের কর্ম ব্যস্ততায় কোথায় যেন হারিয়ে গেছে।
বৃষ্টিতে সকালে বিকেলে ঘরে বসে "বাঘ বন্দী" আর "ষোল ঘুটির" চালে
জীবনটা যেন প্রাণউচ্ছল আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠেছিল
মাঠে ঘাটে লাটাই হাতে রঙিন পেটকাটা আর চৌরঙ্গী
ঘুড়ির লাটে পাক খেয়ে কখন যে ভোকাট্টা হয়ে গেছে বুঝিনি।
এখন জীবনটা পুকুরে ছোঁড়া ইটের মত লাফাতে লাফাতে
কখন যে টুপ করে ডুবে যাবে তার ধারণা নেই।
তাই সাঁঝ বেলায় দুচোখে ধূসর স্মৃতি নিয়ে শৈশবের সাথীদের
মায়াবী শূন্যতায় দীর্ঘশ্বাস বুকে চেপে রেখে নীরবে খুঁজে বেড়াই।