নারী আজ তোমায় নিজেকেই জাগতে হবে
আর শীত ঘুম নয়,
আর কুম্ভকর্ণের ঘুম নয়,
আর ভ্রূণের ভিতর ঘুম নয়,
আর কুঁড়ির ভিতর ঘুম নয়,
এবার বেরিয়ে এস অঙ্কুরিত হয়ে,
চোখ খুলে তাকাও,
নিজেদের শক্তি কে বিকশিত করো,
জাগিয়ে তোলো।
ব্রহ্মা, বিষ্ণু মহেশ্বরের মিলিত তেজে
জন্ম তোমার মহামায়া।
তুমিই তো সন্তানের জন্মদাত্রী স্নেহ পরায়না মাতা,
তুমি কারও কন্যা, তুমি কারও জায়া।
তুমি কর্তব্য রক্ষায় দিয়েছো আত্ম বলিদান,
সতীত্ব প্রমাণে জীবন্ত পুড়েছো অগ্নিকুণ্ডে,
স্বামীর প্রাণ ফিরিয়ে এনে হয়েছো কালজয়ী 'বেহুলা'।
যুগে যুগে নিজ তেজো গুনে তুমি হয়েছো অপরাজিতা।
দেশের স্বাধীনতার গ্লানি মুছতেও হয়েছো বিপ্লবী মহিয়সী,
নিজের ঔরস জাত সন্তান কে দিয়েছো এগিয়ে দেশ সীমান্তে
মাতৃভূমির শত্রু নিধনে যারা দেয় নিজেকে বলিদান।
আজ মহাকাশ থেকে ভূলোক দোলক গোলক ভেদিয়া
তুমি অপরাজেয়, মহাশক্তি কাল জয়িনী।
তবে কেনো, কেন ভাবো তুমি নিজেকে অবলা?
কেন একটাই দিন উদযাপন হবে নারী দিবস বলে?
কেন থাকবে না পুরুষের সাথে সম অধিকার?
নারী পুরুষ লিঙ্গ ভেদে কেন থাকবে ভেদাভেদ?
সংবিধান দিয়েছে সম অধিকার,
তবে কেন দেখা হবে হীন চোখে তোমাদের?
এযে নারীর অবমাননা, নারী কে অসম্মান।
এই একটা দিন স্বাধীনতা দিয়ে, ঘটা করে উদযাপন করে নারী,
তোমাকেই তো কোন ঠাসা করছে পুরুষ।
স্বাধীনতা চাও স্বাধীনতা দিতে হবে প্রতিদিনের।
এটাই হোক সমগ্র নারী জাতির প্রতিবাদ।
যারা তোমাদের দুর্বল ভাবে, নোংরা চোখে দেখে
তাদের বিরুদ্ধে শানিত হও, বুঝিয়ে দাও নারী শক্তিকে,
বুঝিয়ে দাও নারী বেশ্যা নয়,
নারীর সম্ভ্রম ঋতু অপবিত্র নয়।
"নারীর ক্ষমাশীলতাকে ভেবোনা অক্ষমতা,
ভদ্রতাকে কখনও ভেবোনা দুর্বলতা",
নোংরা পুরুষের মন, নোংরা পুরুষের মানসিকতা।
তাই প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে প্রতিদিন ধ্বনিত হোক
নারী শক্তির জয়গান।
শুদ্ধ হোক সকলের মন,
ধ্বনিত হোক নারী পুরুষ সবাই সমান সমান।।