লিখবনা ভেবেও লিখতে হল স্বাধীনতা নিয়ে দুচার কথা,
কাব্য লেখা টা হয়ত আমার শখ, নেশা নয়ত মনের ব্যথা।
স্বাধীনতা মানে যে নিজের অধীন,
নয়তো আমরা কারো পরাধীন।
শ্বেতাঙ্গ ইংরেজ আমাদের করেছিল শোষণ,
বৃথা যায়নি সহস্র বিপ্লবীদের করা অনশন।
স্বদেশী বিপ্লবীদের আত্ম বলিদানের রক্ত,
১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট দেশকে করে ছিল মুক্ত।
শাসন শোষণ থেকে মুক্ত হলো আমাদের দেশ,
অনাহার দারিদ্রতা মাথায় নিয়ে এটাই কি ভারত মাতার বেশ?
জীবন দিয়ে বুঝিয়ে ছিল যারা জীবনের মানে,
সেই স্বদেশীদের কথা আমরা ভুলেযাব কেমনে।
আজ দেশে ঘটে চলেছে কোলাহল বর্বরতা বিশৃঙ্খলা,
পাশবিক অত্যাচারে অপহৃত কত নারী অবলা।
যে আত্ম বলিদানের লড়াইয়ে ছিলনা কোনো বর্ণ ভেদাভেদ,
আজ কেন তবে হানাহানি ধর্ম নিয়ে কর জেদ।
আজ যে স্কুলে কলেজে পাড়ার মোরে দেশপ্রেমের চর্চা চলে,
মুদির দোকানে পতাকা কিনে বাজি ফাটিয়ে রাজনীতির কথা বলে।
স্বাধীনতা মানে নয়তো হানাহানি, জাতপাত, দ্বেষ-বিদ্বেষ,
স্বাধীনতা মানে নয়তো দলাদলি, রাজনীতি, সমাজের দেশের ক্লেশ।
আমাদের দেশ ভারতবর্ষ আজ স্বাধীন হয়েছে বটে,
আমরা কি ছাড়তে পেরেছি স্বার্থান্বেষী লোলুপ কামনা তবে।
আজ স্বাধীনতার পঁচাত্ত বছরে দাঁড়িয়ে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে -
এসো শপথ নেব এক মানবিক ভারতবর্ষ গড়ার, ভালোবেসে।
সংগ্রাম এর পর সংগ্রামে যারা হয়েছিল শহীদ এদেশে,
বন্দে মাতরম ধ্বনিতে তেরঙ্গার নিচে তাদের স্মরণ করি শুভ্র বেশে ।।