শীত মানে শুধু নয়
একা একা বসে থাকা,
নির্জনে নিজের স্বার্থ নিয়ে
অন্যকে ভুলে থাকা।


চুপি চুপি ক্ষীণ গলায়
থাকবে একটি কথা,
বস্ত্র ছাড়া পথ শিশুটির
লাগে যে বড্ড ব্যথা।


হিমেল বাতাস বইছে যখন
চারিদিক কুয়াশায় ঢাকা,
প্রবল শীতে ভোর বেলাতে
চাদর জড়িয়ে থাকা।


সারি সারি খেজুর রসে
ভরবে যখন হাঁড়ি,
দু চোখ মেলে একবার দেখো
আর্ত ক্ষুধার্তের বাড়ি।


প্রকৃতি যখন স্তব্ধ হবে
হাড় কাঁপানো শীতে,
দুর্বল মানুষ অসুস্থ হয়ে
লড়বে জীবনের সাথে।


কন কনিয়ে কাঁপবে যখন
খালি গায়ের দেহগুলো,
ধোঁয়াশা সরিয়ে খুঁজবো তখন
সূর্যটা কোথায় লুকালো।


সূর্য দেখার স্বাদটা নিয়ে
বিফল ঘড়ি দেখা,
সকল কষ্ট দূরে রেখে
শান্তনা পুষে রাখা।


শহরের বুকে সব্জি ঘরে
গ্রামের স্মৃতি ভাসে,
দিনের বেলায় আগুন জ্বেলে
রাতের বেলায় কাশে।


লেপের তলায় খুঁজলে সুখ
মেলে বিত্তবানের হাসি,
খোলা আকাশের শিশির মেখে
কাঁপে শুধুই বস্তিবাসি।


হয়তো শীত স্মরণীয় হয়
পিঠে পুলি আর সঙ্গমে,
ধনী দরিদ্র বিভেদ ভুলে
থাকবে শহরে ও গ্রামে।।