নিশা, চল ঘুরে আসি
বর নয়, ছেলে নয়, মেয়ে নয়,
শুধু তুই আর আমি,
বেশি দূরে যাবো না, এই কাছাকাছি,
চল দুজনাতে ঘুরে আসি৷


কোথায় যেতে চাস কিছু ভেবেছিস নাকি?
আমার ইচ্ছেটা তবে বলি
কতদিন বুকের মধ্যে শুনেছি কলধ্বনি
কুলুকুলু বয়ে যায়; পাথরের বুকে ক্ষয়
তবু থামে না কখনো তার গতি,
ডেকেছে আমায় সেই নদী।


চারিপাশে ঘন বন, শাল আর সেগুনের রাশি
প্রাচিন বৃক্ষরাজ, মাথায় রোদের তাজ
সভাঘৃহে বসেছেন এসে;
দিগন্তে যায় দেখা মেঘে ঢাকা আবছায়া
ঢেউ তোলা রাজ্যের সারি;
কতদিন ডেকে গেছে ঘুমে
নীল পাহাড়ের হাতছানি।


চল নিশা,একবার চল
তুই আমি মিলে ঘুরে আসি।
একদিন সারাবেলা নিয়ে নেব ছুটি
আমরা পাথরে বসব পাশাপাশি
পায়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে নদী,
জল তার ৺কাচ ৺কাচ স্বচ্ছ
ধুয়ে নেবে অকারণ কষ্ট
ডুবে থাকা নুড়ি দিয়ে পায়ে পায়ে ঠোকাঠুকি
সারাদিন তোকে ভালবাসব;
ভুলে যাব এই পরিচয়
স্ত্রী নই, মা নই,কেউ নই, কিছু নই
আমরা আবার দুটি বালিকা হব;
সারাদিন সাদা বালি,অকারণে খুনসুটি;
জলঢাকা নদী জলে ভাসব।