এখন আমার জীবনের সায়াহ্নকাল
মনে পরে ফেলে আসা প্রিয় অতীত কাল
মনে হয়- এইতো সেদিন উড়িয়ে পাল
ঘুরে এসেছি নদীনালা বিলঝিল খাল।


মনে হয়- এইতো সেদিন ঘুড়ি উড়িয়েছি
গোল্লাছুট, দাড়িয়াবান্দা বৌচিঁ খেলেছি
হাডুডু খেলে বৃষ্টিতে ভিজেছি
আর ঝুমুর তালে আনন্দে নেচেছি।


মনে পরে-  ফাঁদ দিয়ে বক ধরেছি
গুলতি দিয়ে বালিহাঁস মেরেছি
উঁচুডালে বসা হরিয়াল দেখেছি
আরো আরো কত কিছু করেছি।


কালিখোলা মন্দিরের পাশে গাছের তলে
বসে বাঁশি বাজিয়েছি দুপুরে ও বিকেলে
এতো স্মৃতি! এতো স্মৃতি জ্বলজ্বল করে
এই পরন্তু বেলায় চোখে সব ভেসে ওঠে।

চলিতে চলিতে হায়
জীবনের একেবারে প্রান্ত সীমানায়
আমি চলে এসেছি, এক চূড়ান্ত আবর্তে
মৃত্যু হতে পারে মোর যেকোনো মুহুর্তে।


জীবনে দেখেছি কত মৃত্যু
বৃদ্ধ মৃত্যু বার্ধক্য মৃত্যু
যুবক কিশোর এবং শিশু মৃত্যু
সন্মুখে অপেক্ষায় এখন আমার মৃত্যু।


জীবন আমার যাবে হঠাৎ থেমে
আমি চলে যাবো অনন্ত ঘুমে
চোখের জলে সবাই গাইবে তখন
দাও প্রভু- দাও তারে অনন্ত জীবন।


স্ত্রী কাঁদবে ছেলেমেয়ে কাঁদবে
ভাই বোন আত্মীয় স্বজনও কাঁদবে
শুধু আমি কাঁদবো না
কোনো কথাও বলবো না।


তারপর মাটিতে আমার কবর হবে
আমার এই দেহের পঁচন শুরু হবে
দেহের মাংস পোঁকায় খাবে
শেষে সবকিছু মাটিতে মিশে যাবে।

জীবন সায়াহ্নে এটাই আমার ভাবনা
হবো নিশ্চিহ্ন, তাই নেই কোনো কামনা
আমার যাবার সময় এসে গেছে
তাই ফেলে আসা স্মৃতি মনে পরছে।


.