আমি  মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত একজন কয়েদী
কারাগারের একটি কনডেম সেলে আছি।
আমি ফাঁসির প্রহর গুনছি
আর আমার ছোটবেলার স্মৃতি স্মরণ করছি।
স্বার্থপর নেতার ষড়যন্ত্র আর চক্রান্তে
আমাকে রাজনৈতিক কর্মী সাজিয়ে
নেতা আমাকে খুনের মামলায় ফাঁসায়
আদালত আমাকে  ফাঁসির আদেশ দেয়।
অনেক আগেই আমি মা-বাবা হারাই
আমাকে এখনও কেউ দেখতে আসে নাই।


হঠাৎ দেখলাম একজন প্রহরীর সাথে
আমার প্রিয়া আসছে
প্রিয়া, আমার ইহজনম ও পরজনম।
প্রিয়া ছিল চুপচাপ প্রকৃতির মেয়ে
সে কাছে এসে হাতটি দিল বাড়িয়ে
স্পর্শে দুজনার হাত গেলো জড়িয়ে,
সেই স্পর্শে পাখীর বুকের মত উষ্ণতা
ছড়িয়ে পড়ে আমার স্নায়ুতন্ত্রে
ছুয়ে যায় হৃৎপিন্ডের সর্ব অন্ত্রে ।


ঝর ঝর করে প্রিয়ার অশ্রু পড়ে গড়িয়ে
হাতে হাত রেখে, সে কাঁদিছে দাড়িয়ে,
না আমি কাঁদিনী, আমার মন খুব শক্ত
মৃদু হেসেছি, চোখে ছিল বেদনার রক্ত ।
আমি কহিলাম- কাঁদিওনা প্রিয়া এখানে
সে হাউমাউ করে কেঁদে দিল আরো জোরে
কি কথা আর বলিব তারে?
শুধু হাতের স্পর্শ, কোনো কথা হলো না।


একসময় প্রহরী প্রিয়াকে কহিলো-
দেখা করার সময় শেষ, চলে আসুন।
প্রিয়া যাবার জন্য হাত ছেড়ে দেয়
এবং আস্তে আস্তে সে চলে যায়।
থেমে যায় পাখির বুকের মত উষ্ণতা ছিল যত
আমার শরীর শীতল হতে থাকে বরফের মত।
ভাবিলাম মনে- তবুওতো এই পৃথিবীতে
এখনও একজন মানুষ আমার আছে
যে এসেছিলো আমাকে দেখিতে জেলখানাতে।


.