অনেক দুরে, ইট-বালুর শহর ছেড়ে
আবার যাব আমি প্রিয় মোর গ্রামে
যেখানে জীবনের জলছবি আছে পরে
যেখানে শান্তির পরশ হৃদয়ে আসে।


আবার মিশে যাব পল্লীর সাথে
সবুজের মোহময় মধু পরিবেশে
প্রভাতে পাখির কাকলী শুনে ঘুম ভাঙবে
শীতল বাতাসে শরীর জুড়াবে
দিন কাটাব সবুজ গ্রামের বাড়ি
যেথায় পোতা আমার জন্মের নাড়ি।


মনে পরে ছেলেবেলার মধুর স্মৃতি
ছিল কুসংস্কারমুক্ত ধর্ম্মীয় রীতি
সন্ধায় তুলসীর তলে বসি
প্রনাম দিত সুরধনী পিশি
শুনতাম পারাণী উলুধ্বনি
মসজিদ হতে হতো আজানের ধ্বনি।


সুনন্দাদের বাড়ি হতো হরিকীর্তন
হতো ঢোল-কর্তাল নিয়ে পথকীর্ত্তন
নাটক যাত্রা হতো শুভ বড়দিনে
প্রীতিভোজ ছিল একই দিনে
সাজুগুজু করে যেতাম মেলায়
মেতে উঠতাম খেলায়-ধুলায়।


সকালে বা বিকালে সুনন্দার সাথে
ঘুরতে যেতাম আমি ঘন লাটা বনে
হাটতাম বসতাম আর লাটা তুলতাম
লাটা দিয়ে লাটা খেলতাম।


লাটা গাছের একটু দুরে দুরে
ছিল লজ্জাবতী গাছ
সাদা এবং কালো লজ্জাবতী গাছ।
লজ্জাবতী গাছের পাতায়
আঙ্গুল ছোঁয়ালেই লজ্জা পায়
লজ্জায় গাছের পাতা বুজে যায়।
আমরা খুব আলতো করে
হাত ছোঁয়াতাম পাতায়,
লজ্জাবতী গাছ তাও টের পেয়ে যেতো
এবং লজ্জায় পাতা বুজিয়ে ফেলতো
সুনন্দা লাজ দেখতো আর মৃদু হাসতো।

সবুজের মোহময় পরিবেশে
আজ সেসব কথা যায় মনে পরে
স্মৃতিগুলি আসে ভেসে ভেসে
হৃদয়ে বেদনা নিয়ে আসে।