মরুর শুক্লপক্ষের দ্বাদশী নিশীরাত
আকাশে স্বর্ণ-বিচ্ছুরিত মায়াবী চাঁদ
দুরে বালি আর বালিয়ারীর দৃশ্য
মরুর জোছনা অমরাবতী সদৃশ্য।


আমি বাংলাদেশী আমি বাঙালী
সোনার হরিণের আশায় কুয়েতে এসেছি
পঁচিশ বছর ধরে এখানেই আছি
চাকরী করছি।


বছরে একমাস ছুটিতে যাই দেশে
বাকী এগারো মাস কাটে এই মরুদেশে
তাই বাংলার বসন্ত, হৃদয় ভরে
উপভোগ করা হয়নি পঁচিশ বছর ধরে।


ভাগ্য ফেরাতে দেশ ছেড়ে এসেছি এতোদূর
মরুদেশে কেটে গেলো অনেকগুলি বছর
কেটেছে মুল্যবান সময় ছেড়ে বাংলাদেশ
এখন এই কুয়েতই আমার দেশ।


এটি একটি নিভৃত মরু অঞ্চল
যেখানে ড্রিলিং করে হয় তেল উত্তোলন
আমি সেখানে স্টোর কিপার
সব মালামাল দেখার দায়িত্ব আমার।


মরুভূমিতে কাটে অন্যরকম দিন
এখানেও আছে জীবন
আছে প্রচন্ড গরম ও শীতে ঠান্ডা অনন্ত
এই নিয়েই চলে জীবনের বসন্ত।


মোহময় সোনাঝড়া শুক্লপক্ষের মরুর মধ্যরাত
চারিদিকে নিস্তব্ধতা কোন মানুষ নেই
বৃক্ষ নেই,  ঘাস নেই,  পানি নেই
নেই পাহাড, নেই বন জঙ্গল ঝোড়ঝাপ,
শুধু বালিয়ারী আর বালির স্তুপ
যেন অমরাবতী নিঃসঙ্গ অপরূপ।


. ২১-১-১৯