সেকালে কদর ছিলো নাকপাশার
একদিন শশী হাত ধরে আমার
চোখের দিকে তাকিয়ে
বাঁশির মত তার নাকটি দেখিয়ে
বলেছিলো কাছে এসে
আমি নাকপাশা পরবো নাকে,
তুমি হিজলতলী হাটে যাও
আমায় একটা নাকপাশা এনে দাও।


আমি রুহিতখালী নদী বেয়ে
হিজলতলীর হাটে গিয়ে
ইমিটেশনী নাকের নোলক
কাঁকনবালা ঝুমকোলতা
নাকপাশা আর পায়ের আলতা
রেশমী চুড়ি লালফিতা
এনে দিলাম শশীর হাতে।


মাঠে ঘাটে হাটে বিলে
কত ঘুরেছি শশীকে নিয়ে
শশীর পানে চেয়ে চেয়ে
মনে মনে ছবি আকতাম
চিলের ন্যায় উড়ে উড়ে
নীলাকাশে ঘুরতে চাইতাম।


সেই শশী আজ অন্যের ঘরে
সংসার করছে অনেক দুরে।
আমার মনে বীণ মিশানো
উর্মিমালায় সুর বাঁধানো
স্মৃতিগুলো নষ্টালজিক রূপ
ছড়ায় গন্ধবিধুর ধূপ।