মৃত মীনাক্ষীর মতো প্রভাত সূর্য কুয়াশার
চাদরে ঢাকা। শীতের আমেজ মাখছে গায়ে
গৃহস্থ। চেটে-পুটে খাচ্ছে প্রকৃতির রঙিন আশীর্বাদ।


আমরা ক-জন ছেঁড়া কম্বলে আপদমস্তক ঢাকা
খড়ের বিছানায় রাতভর বিনিদ্র প্রহরায়, বন্ধ
কারখানার গেটে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের করাল
কল্পনায় রিলে অনশনে।


নিশান উড়ছে, চারটে-ছটা।মনে হয় মৃত্যুর পরোয়ানা।
তালা বন্ধ গেটের ওপারে আমাদের প্রাণ ভোমরা।
বড় বাবুরা বোঝেনা, শীর্ণ দুহাত কী করুণ প্রত্যাশায়
  দিনগোনে জীর্ণ দরমার ফাঁকে।


আজ যারা উপরে প্রদীপের নিচের অন্ধকার পারে কী
সব টুকু বুঝতে। রাজনীতির যাঁতা কলে বঞ্চিত নায্য
অধিকার।অভুক্ত পেটে সমাজতন্ত্র, মৃতপ্রায় রোগীর
তিক্ত পাচন।    

সাইরেনের তীক্ষ্ণ শব্দ, লেদের গা থেকে গড়িয়ে নামুক
তেল-কালি, গিয়ার-পিনিয়নের জ্যামিকিত বিন্যাস,
মিলিং-ড্রিলিং-ওয়েল্ডিং মেশিন চলুক অফুরান। শব্দ
আমাদের প্রাণ, নি:স্তব্ধ শূন্যময়তা নরক সমান।
  
উজ্জ্বল হোক সূর্যটা, নিদারুন তাপে পুড়িয়ে দিক
চারদিক। এই শীত ভালো লাগেনা। বিন্দু বিন্দু ঘাম
গড়িয়ে নামুক কপোল থেকে বক্ষে, বাহু থেকে কটিতে
                      পায়ের পেশীতে।  


শরীরের ঘামে শ্রমিকের মুক্তি স্নান।