যুবকটি হিমু হতে চেয়েছিল
প্রথমে নিজের নাম বদলে রাখলো হিমু,
তারপর পকেট বিহীন হলুদ পাঞ্জাবী পরা শুরু করলো,
পায়ের স্যান্ডেল জোড়াও বিসর্জন দিল নির্দ্বিধায়।


তারপর সারাদিন শুধু হেঁটে বেড়ায় উদ্দেশ্য বিহীন শহরের এক মাথা থেকে আরেক মাথা,
খিদে পেলে কারো  কাছে হাত পেতে খেয়ে নেয়,
অথবা কোন বিয়ে বাড়ীতে ঢুকে খেয়ে নেয়,
দু’ একবার ধরা খেয়ে অপমানিত হয়েছে,
হিমুদের ভালোবাসা আর অপমান গায়ে মাখতে হয় না।


রাতে পাগল করা জোৎস্নায়
আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে
ফুটপাতে এক সময় ক্লান্তি নিয়ে ঘুমিয়ে পরে।
ঘুমিয়ে পরে স্বপ্ন দেখে
রুপা নীল শাড়ী,  নীল টিপ পড়ে তাকে ডাকছে,
আর বলছে" হিমু আমি সারাদিন তোমার অপেক্ষা থাকি, তুমি আসো না কেন?"
কখনো বা বৃষ্টিতে ঘুম ভেঙ্গে যায়
জোৎস্না আর বৃষ্টির জলে
মাখামাখি হয়ে যায় শরীর আর মন।


প্রতিদিন সকালেই সে তার
রুপার বাড়ীর সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে,
রাতের স্বপ দেখার মত
তার রুপা কিন্তু তাকে ডাকে না,
দেখাও দেয় না।
এক সময় হতাশ হয়ে আবার হাটতে শুরু করে।


একসময়,
বুকের পায়রা উড়ে যায় অভিমানে,
পাঞ্জাবীর রঙ নষ্ট হয়ে
স্বপ্নের রঙ অস্পস্ট হতে থাকে,-
গায়ের রঙ জ্বলসে যায়
মনের জোৎস্না বৃষ্টির জলে ধুয়ে যায়।


গল্পের হিমুদের জন্য রুপারা সবসময় অপেক্ষা করে,
বাস্তবের রুপারা অপেক্ষা করে মাঝেমাঝে।
তাই যুবক একদিন ঠিকই বুঝে যায়
নাম বদলালেই হিমু হওয়া যায় না
হিমু হয়ে জন্মাতে হয়।
---------------------------------
জি,এম, হারুন অরর রশিদ
১৬/০৯/২০১৭