‘মরন’  বন্ধুর মতো ডাকছে আমায়,
তাইতো আজকাল ভালোবাসা আর ঘৃনা সহপাঠি হয়ে একই ক্লাশে কোচিং করতে যায়,
বিশ্বাস আর প্রতারনা রাতে একই  বিছানায় গলাগলি করে ঘুমায়,
চাঁদের আলোতে প্রেমিকের ছায়া খেয়ে ফেলে ক্ষুধার্ত জোনাকির দল,
অভিমান আর বিরহ শুয়ে থাকে শিশির ভেঁজা দুর্বা ঘাসের উপর।


‘মরন, বন্ধুর মতো ডাকছে আমায়,
একটা ‘অ’ প্রজাপতির সেঁজে আমার বুকে হাহাকার দেয় যখন তখন,
তাইতো আয়নায় নিজেকে ‘অ-প্রেমিক’ এর মতো দেখায় ,
সকল ‘অ-প্রেমিক’ বন্ধুর সেঁজে তিন তাস খেলে ‘মরন’  এর সাথে পাক্কা জুয়ারী মতো।


‘মরন, বন্ধুর মতো ডাকছে আমায়,
আমি বাঁচার লোভে  তোমার কাছে আবদার করেছিলাম,
আমি না হয় তোমার চুলের ক্লিপ হয়ে অবহেলায় পরে থাকবো ভ্যানিটি ব্যাগে,
অথবা তোমার শাড়ীর আলমারীতে ন্যাপথালিন হয়ে পোকামাকড় তাড়াবো।


‘মরন, বন্ধুর মতো ডাকছে আমায়,
কোথায় যাচ্ছো তুমি এতো ভোরে আগুন নিয়ে,
আমার চিঠিগুলো আগুনে পুড়াবে?
মনের শীত না শরীরের শীত তাড়াবে?
সাবধান, জ্বলন্ত কাগজ বাতাসে উড়ে তোমার শাড়ীর আঁচলে আগুন লাগবে,
একটু অপেক্ষা করো দেখো,
সূর্য উঠলেই তাপ বাড়বে।


‘মরন, বন্ধুর মতো ডাকছে আমায়,
তুমি  চাইলেই ‘মরন’কে আপাতত নির্বাসনে পাঠাতে পারো
একবার আমার ‘অ’ টাকে আগুনে পুড়িয়ে শরীর গরম করে নিও,
তখন আমি অন্তত ‘অ-প্রেমিক’ থেকে আবার ‘প্রেমিক’ হবো।
——————
রশিদ হারুন
১৮/০১/২০১৯