শুক্রবার দুপুরে আয়েশ করে ঘরের ফ্লোরে খেতে বসেছি,
যেই না মুখে প্রথম লোকমাটা তুলবো ঠিক তখনই
মোবাইল ফোনের রিং বেজে উঠলো।
পর্দায় ভেসে উঠলো ‘সুর’ নাম।


রিসিভ করতেই কাঁপা কাঁপা কন্ঠে সুরঞ্জিত বলল,
“ বন্ধু কেমন আছিস?”
সুরঞ্জিতের আদ্র কন্ঠে আমি একটু নার্ভাস হয়ে গেলাম।
জিজ্ঞেস করলাম, “কী  হয়েছে তোর,
কোন সমস্যা!”
সুরঞ্জিত নিরুত্তর,
কেবল একটা দীর্ঘশ্বাসের গরম বাতাসের শব্দ ভেসে এল কানে।


আমি খাওয়া বন্ধ রেখে চুপচাপ কানে ফোন চেপে রাখলাম,
অবশেষে  অনন্তকাল পরে পৃথিবীর সব নিরবতা ভেঙে  সুরন্জিত বলে উঠল,
“ বন্ধু তোকে ‌অনেকদিন দেখিনা,
আজ সকাল থেকেই তোকে বুকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করছে।”


আমি খুবই আশ্চর্য হয়ে গেলাম,
আমার সাথে ওর শেষ কথা হয়েছে প্রায় একমাস হলো।
আমি আবারও জানতে চাইলাম,
“ সব ঠিকঠাকতো, বন্ধু?”
-“সব ঠিক আছে, সিলেট এলে  দেখা করিস,”
বলেই হুট করে কল কেটে দিলো  সুরঞ্জিত।


কিছুই হয়নি
এমন একটা ভাব ধরে খাবার মুখের কাছে আনতে আনতে
আমার চোখ দিয়ে টুপ করে দু’ফোটা চোখের জল খাবারের প্লেটে এসে পড়ল।
আমি অবাক  হয়ে ভাবলাম
পড়তি বয়সে কার জন্য আমার এই চোখের জল!
বন্ধু সুরঞ্জিতের জন্য,
নাকি আমার নিজেরই জন্য?
——————————
০১/০৯/২০২২
র শি দ  হা রু ন