আমার এই এক জীবনে কখনোই কোন ঈদে
বারান্দায় একা একা ঠিক এভাবে বসে থাকিনি।


মহল্লার মানুষের এতো আনন্দের চিৎকার চারিদিকে
অথচ কি অদ্ভুত নিরবতা আমার ঘরের মধ্যে!


একটি কাক গ্রীলে বসে আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে
কা -কা স্বরে নিষ্ঠুর ভাবে চিৎকার করে
আমার বেদনার খবর মহল্লার চারিদিকে ছড়িয়ে
উড়াল দেয় সোনালী আকাশে।


খাঁ খাঁ রোদ চারিদিকে,
অথচ আমার ঘর ভিজে যায় এক উথাল পাতাল বৃষ্টিতে!


ঈদে এই প্রথমবারের মতো ‘মা’ নেই ঘরে,
তাইতো আমার শূন্য ঘর ভর্তি বৃষ্টির জলে আমি একা দাঁড়িয়ে থাকার মতো শক্তি পাইনা।


একলা বারান্দায় লুকিয়ে থেকে আমার সকল বেদনা, কষ্ট, শোক
যতই লুকাতে চাচ্ছি এই পৃথিবীর মানুষের কাছ থেকে,
পারিনা;
আমি বারবার ব্যার্থ হচ্ছি।


হয় একটা কাক দেখে ফেলছে,
না হয় দুটো পিঁপড়ে খবর পৌছে দিচ্ছে আশেপাশের মানুষের কাছে।


পৃথিবীর সকল হাহাকার আর নিঃসঙ্গতা
মাকড়সার মতো আমার শরীর থেকে মমতাহীনতার ‌অদৃশ্য জাল বুনতে থাকে
মা হারা এই শূন্য ঘরে।


নিরবে আমার এই সকল বেদনা আর কষ্ট ভাগ করে নেয়
ঘরের একমাত্র বাসিন্দা অ্যাকুরিয়ামের জীবন্ত ছোট মাছটি।


বাবাতো চলে গেছেন সেই কবেই,
মা’ও চলে গেলো না বলেই,
সবই চলে যায় দিনদিন।
বিষণ্নতা আর আনন্দহীনতায় ভরা আজ আমার আনন্দের ঈদের দিন।
————————————
র শি দ  হা রু ন
০৩/০৪/২০২২