মনোলীনা,


আমার একটা খুন করতে ইচ্ছে করছে।
একটা বোবা ধারালো অক্ষমতা নিয়ে
দাড়িয়ে আছি গলির নষ্ট ল্যাম্পপোষ্টের আড়ালে।
মন খারাপের রাতের মরা আলোটুকু চুরি করে-
দাড়িয়ে আছি আমার মরা বুক নিয়ে,
কেউ যেনো আমাকে দেখতে না পায়
এমন কি আমার অক্ষম ছায়াও।


আমার চুরি করা ‘মরা আলোর’ বুকে শেষ পেরেক ঠুকে দিয়ে,
গলির শেষ বাড়ীটি অন্ধকার করেই-
তুমি চলে যাচ্ছ অন্য শহরে।


আমি আমার অক্ষম ছায়াটাকেই খুন করে সাহসী হয়ে উঠবো,
তোমাকে আজ যেতে দিবো না,
তীব্র হাহাকার নিয়ে বলে উঠবো,
“ আমার মতো অন্য কেউ তোমায় ভালোবাসবে না কখনোই”।


অথচ তোমাকে দেখা মাত্র
একটি তক্ষক ডেকে উঠলো আমার মরা বুকের পাঁজর ভেংগে
‘বিদায়,
বিদায় ,
বিদায়’।


মনোলীনা,
মন ভুলানো এক অদ্ভুত চাঁদের আলোতে তোমার ছায়াটা ভেসে উঠতেই-
আমার অক্ষম ছায়াটাও দৌড়ে ছুটে গেলো তোমার ছায়ার কাছে।
তারপর ,
তারপর-
তোমার ছায়ার হাত ধরে সেও চলে গেলো অন্য শহরে।
আমি আটকাতেও পারলামনা কাউকেই,
না তোমাকে,
না আমাদের দু’জনের ছায়াকে।
তখনই-
আজীবনের জন্য-
একটি নষ্ট ল্যাম্পপোষ্টের আড়ালে আমি নিজেই খুন হয়ে গেলাম ।


মনোলীনা,
এখন আমার ছায়াটা তোমার সাথেই থাকে অন্য শহরে।
আমার মন কান্দে ,
আমার মন কান্দে,
আমার মন কান্দে।
————————————
রশিদ হারুন
১১/০৯/২০১৮