যদি আজ রাতে ঘুমে বুকটা থেমে যায়
ধরে নিও মানুষটি আর নেই- মরে গেছে।
দাঁত মেজেই সকালের নাস্তা চাইবে না,
এক কাপ চায়ের জন্য তোমাকে অযথা বিরক্ত করবে না আর কোনোদিন।
আর কখনো কবিতাও লিখবে না।


সবাইকে খবর দেয়ার আগে
আমাকে সাজিয়ে-গুছিয়ে রেখো।


খোঁচা খোঁচা দাড়িতে বিশ্রি লাগে আমাকে, পারলে মুখটা ধুয়ে সেভ করে দিও।
মাথার সাদা চুলগুলোতে কালো কলপ লাগিয়ে
চুল আঁচড়ে দিও।


আয়রন করে প্রিয় হলুদ পান্জাবিটার সাথে
ফিট জিন্সটা পরিয়ে দিও।


আমার সকালের নাশতাটা বারান্দায় রেখে দিও
চড়ুই আর কাকের জন্যে।
এককাপ চা কম বানালেও চলবে সেদিন।
বন্দি কিছু কবিতা আছে এই বুকে-
সেগুলো মুক্ত করে আকাশে উড়িয়ে দিও।


একটা সরকারি হলুদ ডেথ সার্টিফিকেট জোগাড় করে রেখো তোমার কাছে-
আমার শেষ কবিতা হিসাবে।


শোক কাটবার(যদি হয়) পর একবার সময় হলে গভীর রাতে গোরস্থানে এসো।


হাতে করে কিছু জোনাকি পোকা দিয়ে যেও গোরের উঠানে।
আর, পথটা ভালোভাবে চিনে রেখো,
আসতে হতে পারে তোমারও।


আমার এখনই শুধু জানতে ইচ্ছে করে-
বন্দি কবিতাগুলো উড়তে উড়তে কার বুকে ঢুকবে?
আর প্রিয় শরীর ছেড়ে আমি থাকবো কীভাবে?
—————————-
রশিদ হারুন
০২/০৪/২০২০