মহল্লার পরিচিত চায়ের দোকানটায় ঠায়  দাঁড়িয়ে
মনোলীনাদের তিনতলার বারান্দায়
তাকিয়ে থাকতে থাকতে
পাঁচকাপ চা আর পাঁচটা সিগারেটের শেষটা ফুঁকতে ফুঁকতে
কয়েকদিনের না কামানো দাড়িতে বা'হাতে হাতড়াতে হাতড়াতে ভাবছিলাম
ভালো কিছু স্যূট -টাই লাগবে
সাথে লোফার আর পামশ্যূ জাতীয় জুতো,
একটা প্রাইভেট কার হলে ভালো,
ড্রাইভিংটা শিখে নিতে হবে।
রাস্তায় দাঁড়িয়ে এভাবে কোনো ভদ্রলোক চা খায়!
কফি হাউজে বসে হালকা  চুমুকে কফি খেতে হবে,
ঘামের গন্ধের জন্য ভালো কিছু পারফিউম কিনতে হবে,
প্রতিদিন শ্যাম্পু দিয়ে গোসলের পরে সেভ করে
আফটার সেভ লোশন মাখতে হবে মুখে।


পাঁচ নাম্বার সিগারেটটায় শেষ টান দিয়ে পায়ের স্যান্ডেলের নিচে পিষতে পিষতে নিজের উপর বিরক্ত হয়ে টের পেলাম
মনোলীনার প্রেমে পড়ে জীবনটাকে সিগারেটের মতো আগুন জ্বেলে ফুঁকছি,
আর ঘোরগ্রস্ত  আমি ভদ্রলোকের মতো ভাবছি।


আর তখনই ছয় নাম্বার সিগারেটে আগুন ধরিয়ে মনোলীনার বাড়ির খালি বারান্দার দিকে তাকিয়ে তপ্ত নিঃশ্বাস ছেড়ে সিগারেটের আগুনের শপথ নিয়ে
মনে মনে বললাম,
মনোলীনার প্রেম পাই আর না পাই
আমি আর কখনোই অসহ্য ভদ্রলোক হবার কথা ভাববো না।
———————
র শি দ  হা রু ন
০৭/১১/২০২২