দুধকলা দিয়ে নিজেকেই পুষি আমি আমার শরীরের ভিতরে।


তবুও প্রায়ই আমার ফেরা হয়না
বহু দিন,
বহু বছর,
বহু কাল
আমারই শরীরে।


আমি বুঝিনা
কেনো যে আমি আমার শরীরের ভিতরে এতো দুঃখী!
দুঃখ ,
দুঃখ
আর দুঃখ।


আমি প্রায়ই শরীর থেকে বের হয়ে যাই
পূর্ণিমার রাত্রিতে
অশরীরী  খুনী সেঁজে চাঁদকে খুন করি অনায়াসে সেদিন
শুধু একটু চাঁদনী আলোর নেশায়।


ভরদুপুরে জলের তৃষ্ণার ভান করে
আমি শান্ত পুকুরে  ডুব দিয়ে  
মাছদের সাথে ঘুমিয়ে থাকি
জলে দুঃখ লুকাবো বলে।


আমি ঝড়ের দিনে কান্নার ভয়ে বৃষ্টির ফোঁটায় লুকাই,
সেদিন কেউ যেনো বুঝতে পারেনা
কোনটা কান্নার জল
আর কোনটা মেঘের কান্না।


তীব্র পাপে অস্হির হয়ে
জেলখানায় লুকিয়ে থাকি ইঁদুর হয়ে ফাঁসির আসামীর কনডেমসেলে,
তার সারাজীবনের অনুশোচনা হয়ে,
তার শেষ অপূর্ন গোপন ইচ্ছে হয়ে
আর আমার তীব্র পাপ মোচনের  শেষ সুযোগ হয়ে।


একটু মানুষ হবার আশায়
জন-অরণ্যে মানুষেরই ছায়া হয়ে লুকিয়ে থাকি দিনকে দিন,
তবুও মানুষ হতে পারিনা ।
এই দুঃখে নিজের শরীরে ফিরিনা আমি
বহু দিন,
বহু বছর,
বহু কাল।


তীব্র বিরহে
আমার চোখ অস্হির হয়ে আমাকে খুঁজে বেড়ায় সব সময়
আকাশ, মাটি , জলে আর মানুষে
যদি হারিয়ে যাই
যদি হারিয়ে যাই
যদি হারিয়ে যাই
শরীর থেকে একজীবনে।


তাইতো আদরে আদরে রাখি আমি নিজেকেই সবসময়
দুধকলা দিয়ে নিজেকেই পুষি আমি আমার শরীরের ভিতরে।
———————
র শি দ  হা রু ন
১৪/০৩/২০২১