ব্যাংকের ম্যানেজার যখন আমাকে বললো,
-“নিয়মনুযায়ী আপনার লোনের জন্য উপযুক্ত দামী সম্পত্তি বন্ধক রাখতে হবে”


আমি তখন তোমার লেখা প্রথম প্রেমের চিঠি’টি দেখিয়ে বললাম,
-“ আমি জানতাম আপনি এমন কিছু চাইতেই পারেন,
তাই তৈরী হয়েই এসেছি”

উনি আমার দিকে অনেকক্ষন তাকিয়ে বললো,
-“এতো দামী সম্পত্তি বন্ধক রাখার ক্ষমতা কোন ব্যাংকের নেই,
এমন কি কারোই নেই”


আমি বললাম,
-“মনোলীনা’কে নিয়ে লেখা আমার কিছু কবিতা আছে,
সেই গুলো হলে চলবে?”


উনি তখন বললেন,
-“কবিতা বন্ধক রাখার মতো কোন নিরাপদ লকার আমাদের নেই,
আপনি তার চেয়ে কিছু কবিতা আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করে দিন,
কালো বাজারেও ভালো দাম পেতে পারেন”


আমি ব্যাংকের দরজা দিয়ে বের হবার সময় দু’জন গার্ড আমাকে সম্মানের সাথে সালাম ঠুকে দিলো,
আর আমি শুধু তোমাকে করুনা করলাম তখন।


আমাকে ছেড়ে গেলে শুধু দরিদ্র কবি বলে,
তুমি জানলেও না,
আমার চেয়ে ধনবান মানুষ এই পৃথিবীতে একজনও নেই,
আমার এক পকেটে আজ তোমার লেখা সাতাশি’টা চিঠি,
আর আরেক পকেটে আছে তোমাকে নিয়ে লেখা
সতের’টি কবিতা।


“মনোলীনা,
তুমি অর্থনীতি’তে খুবই কাঁচা ছিলে,
তুমি কি জানতে?
তোমার চেয়েও তোমার লেখা চিঠি,
আর তোমাকে নিয়ে লেখা কবিতা,
এতো দামী হবে একদিন।
————————-
রশিদ হারুন
০৮/০৩/২০১৯