বয়স
ছেলেটির- উনিশ,
মেয়েটির -সতেরো।


নাম-অপ্রাসংগিক তাই দেওয়া হলোনা।


প্রেমের জন্ম সময় – সন্ধ্যে ৫-৪৫ মিনিট।
সেই সময় সূর্য বিষন্ন আলো ছড়াতে ছড়াতে পৃথিবীর কফিনে ঢুকে যাচ্ছিলো ।


প্রেমের জন্ম- লম্বা চুলের
জিন্স্ প্যান্ট পরা ছেলেটি যখন  মাস্তানের ভাব ধরে-
৫৫৫ বাংলা সিগারেট টানতে  টানতে যাত্রাবাড়ীর ওয়াসা গলির ১০৭/এ দোতালার বাড়ীর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো।
সেই সময়ে নতুন ভাড়াটিয়ার বারান্দায়  কাকতলীয় ভাবে তার চোখ চলে যায়।
একই সময় মেয়েটি মা’র বকুনি খেয়ে( বকার কারন অজানা)
চোখের জল লুকাতে দৌড়ে এসে বারান্দায় দাড়ালো।
তখনই একফোঁটা চোখের জল টুপ করে বাতাসে ঝরলো ।


সেই জল মুহূর্তেই একটি জোনাকি পোকা হয়ে ছেলেটির বুকে ঢুকে গেলো তীব্র ঝাঁকুনিতে।


কখন যে সিগারেটের আগুন নিভে গিয়েছিলো ছেলেটি টেরও পায়নি।
শুধু টের পেলো সেই আগুনই লক্ষ কোটিগুন বেড়ে এখন একটি জোনাকি পোকা হয়ে তার বুকের মধ্যে জ্বলছে।


মেয়েটির চোখের সেই জল
পুরো মহল্লা, শহর আর দেশে ছড়িয়ে পরলো।
কেউ টেরই পেলোনা।
অথচ একজন মাত্র ছেলের বুক পুড়লো সেই জলে।
বুক পুড়তে পুড়তে তখনই একটি অমিমাংসিত প্রেমের জন্ম হলো।
আমরা একটা বেওয়ারিশ প্রেম  বলতে পারি এটিকে।


পরিনতি- ছেলেটি সেই মেয়েটিকে সূর্যের বিষন্ন আলোতে একবারই দেখেছিলো।
তারপর লক্ষ কোটি বিকেল-সন্ধ্যা সেই ১০৭/এ দোতালার বাড়ীর বারান্দার ঠিক উল্টোদিকের বাড়ীর দেওয়ালে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে ছিলো সে।
দাড়ি্য়ে থাকতে থাকতে লক্ষ-কোটি ৫৫৫ বাংলা সিগারেটও সে পুড়িয়েছে।
ছেলেটি আর কখনোই সেই মেয়েটির দেখা পায়নি!!
সে রাতেই মেয়েটি ‌অন্য শহরে চলে গিয়েছিলো!!
এ খবর ছেলেটি অনেকদিন জানতেই পারেনি!!
এখনো  সেই দেয়ালের গায়ে লম্বা চুলের মানুষের মতো প্রায় ছয় ফিট একটি ছায়া দাড়িয়ে আছে।


প্রেমের বায়োডাটা বলছে-
মেয়েটি কখনো জানতেই পারেনি মাস্তান এই ছেলেটির কথা।


ভাগ্যিস মেয়েটি জানতে পারেনি,
তাহলে ছেলেটি কখনো কবি হতে পারতো না।
—————————————
রশিদ হারুন
১৬/১২/২০১৯