হ্যালো মনোলীনা,
সকাল হয়েছে সেই কখন!!
ঘুম ভাঙ্গলো তোমার!!
রাতে কথা বলবে বলে বসিয়ে রাখলে!!
কখন যে ঘুমিয়ে পড়লে!!
কতোবার যে তোমার ম্যাসেন্জারে কড়া নাড়লাম ।


ম্যাসেন্জারের সবুজ বাতিটা কিন্তু ‘জলে ডুবা জোনাকি পোকা’র মতো জ্বলজ্বল করছিলো অনেক রাত পর্যন্ত।
একবারের জন্যও তুমি তাকে জল থেকে টেনে তুললে না!!


হ্যালো মনোলীনা,
শুনছোতো আমাকে?
আমি সারারাত বসে থাকতে থাকতে
একসময় একটা নীল প্রজাপতি পাঠালাম তোমাকে জাগাতে।
প্রজাপতিটা তোমার বিছানায় বসে ছিলো অনেকক্ষণ।
ডাকলো তোমায় কতোবার যে তার নীল পাখার ঝাপটায়।
তারপর তোমার ঘুমন্ত ঠোঁটে বসেছিলে অসভ্য সূর্য জেগে উঠার আগ পর্যন্ত।
তবুও তোমার ঘুম ভাঙ্গলো না।
এক সময় তোমার ঘুমের বিছানায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ছিড়ে যাওয়া চুম্বন কুড়াতে কুড়াতে বেচারা মরে গেলো।


প্রজাপতিটা যখন ফিরলোনা,
তখন আমার একটি পংক্ষীরাজ ঘোড়া পাঠিয়েছিলাম প্রজাপতির খবরের জন্য।
তোমার বারান্দায় নেমে রাতের জানালায় একটু উকি দিতেই যখন দেখলো,
নীল প্রজাপতিটা ভুল চুম্বনের বিষে মরে কালছে নীল হয়ে আছে।
সেই কষ্টে আমার পংক্ষীরাজ ঘোড়া ডানা ভেঙ্গে এক ‘ঘোরগ্রস্ত বিলাপে’ আহত হয়ে তোমার বারান্দায় ছটফট করছে।


হ্যালো মনোলীনা,
ঘুম ভাঙ্গলে  ঘুমের বিছানা ঝাড়ার সময় দেখবে-
একটি কালছে নীল প্রজাপতি মরে আছে।
আর তোমার বারান্দায় ডানা ভেংগে পড়ে আছে -
‘আমার নির্ঘুম একটি পংক্ষীরাজ ঘোড়া’।
——————————————
রশিদ হারুন
২২/১১।২০১৯