এখন আর আমার সময়মতো ঠিকঠাক বাড়ী ফেরা হয়না,
শুধু একটি টিকটিকির জন্য।
বাড়ী ফিরলেই কোত্থেকে যে হাজির হয় সে।
শাসনের আর কৈফিয়তের ভংগিতে জানতে  
তোমার কথা।


টিকটিকির চোখে চোখ রাখতে পারবো না বলে-
ঘরের ছাদে এসে লুকিয়ে থাকি অনেক রাত্রি,
উদাসী আকাশটাও একসময় তোমার কথা জানতে চায়।
নতুন খবর নেই তাই চুপ করে থাকি,
এক সময় যখন দেখি একটি বোকা জোনাকি তার অমিমাংসিত ছায়া খুঁজছে
তখন নেমে আসি ঘরে।


তুমি এখন যে বাড়ীতে থাকো
সেখানে কি একটা টিকটিকি থাকে,
ছাদে কি এমন একটা উদাসী আকাশ আছে?
আর একটা বোকা জোনাকি?


গভীর রাতে-
একা ঘরে ঢুকি বোকা জোনাকির মুখোশ পড়ে।
টিকটিকিটা ততোক্ষনে ক্লান্ত হয়ে বোধহয় ঘুমিয়ে পড়ে।
বাতি নিভিয়ে সারারাত-
আমি বিছানায় বসে থাকি বিরতিহীন জ্বলন্ত সিগারেটে ঠোঁট রেখে।


সিগারেটের আগুনের সাথে আমার অমিমাংসিত ঘুমকে পোড়াতে পোড়াতে ভাবতে থাকি-
‘আমাকে ছাড়া তুমি কেমনে থাকো এই অমিমাংসিত পরবাসে!!’
——————————————
রশিদ হারুন
২০/১১/২০১৯