গভীর রাত,
দশ তলার গ্রিলহীন বারান্দায় একজন কবি দাড়িয়ে আছেন,
একবার উনি নিচের দিকে রাস্তার ছুটন্ত গাড়ীর আলো গুলোর দিকে তাকাচ্ছেন,
আরেকবার পূর্নিমার চাঁদের দিকে তাকাচ্ছেন,
ঘরের টেবিলে কলম দিয়ে চাপা দেওয়া আছে সাদা কিছু কাগজ,
হঠাৎ হঠাৎ কাগজ কলমের দিকেও তাকাচ্ছেন কবি,
এখনো স্হির করতে পারছেন না,
আজই আত্মহত্যা করবেন কিনা।


গত কয়েকদিন যাবত উনি আয়নায় তাকাচ্ছেন না,
যদি নিজেকেই খুব বেশি ভালোবেসে ফেলেন,
উনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন,
আর এভাবে টানতে পারছেন না তিনি নিজেকে,
আজ, এখনই আত্মহত্যা করবেন।


সরকারী ভাবে উনার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে সর্বোচ্চ “কবি পদক” এর জন্য,
পদক প্রাপ্তি উপলক্ষ্যে শুধু মাত্র একটি বিবৃতি লিখতে হবে,
কবি’কে সম্মতি জানাতে হবে পদক গ্রহনের।


কবি লিখলেন তার প্রথম আত্মহত্যার নোট,
“ আজ সকল কবি’গনের আনন্দের দিন,
আমরা এখন আমাদের ইচ্ছেমতো কবিতা লিখতে পারি,
কবি’দের কলম আজ শিকল মুক্ত”
কবি আজ প্রথম আত্মহত্যা করলেন
বেঁচে থাকার জন্য।


কবি তারপর ঘুমোতে গেলেন নিশ্চিন্তে,
শুধু কবির বুকে একটা অন্ধ জানালা ঝুলে আছে একটি আগুনপাখি’র অপেক্ষায়।
———————————————
রশিদ হারুন
১৭/১১/২০১৮