কবি,
আজকাল তুমি এতো বিষাদ খুঁজো  কেনো?
অন্ধকার রাতে বিষাদ খুঁজতে কোথায় যাও কবি?
সব বিষাদে কি আর কবিতা হয়?


কবি,
কবিতা’র জন্য ভাংঙ্গা চাঁদের ‘মন মরা’ আলোতে তুমি কাকে খুঁজতে ঘর থেকে বের হয় এখন?
আমাকেতো বিষাদ খুঁজতে ডাকোনা এখন?
মরা আলোতে ভুল মানুষকেও কিন্তু আপন মনে হয়।
অন্ধকারে তুমিতো ভুল মানুষের কাছে চলে যাবে!


কবি,
অন্ধকারে কার বিষাদ বুকে তুমি কবিতা খুঁজতে বের হও?
তুমি একা যেওনা,
আমাকে সাথে নিও
যেদিন চারিদিকে জোনাকী পোকা আলো জ্বেলে নিজেরা ভালোবাসা বাসি করে,
সেই আলোতে মানুষের মুখ দেখা যায় ভালোভাবে,
তুমি সেই আলোতে ঘর থেকে বের হয়ো,
আমি আমার শরীরের সব বিষাদ দিয়ে তোমাকে কবিতা দিবো সেদিন।


কবি,
মনে আছে,
তোমার প্রথম কবিতার জন্য
আমার ঠোঁট ছুঁয়ে বিষন্নতার নামে যে আগুন দিয়েছিলে ঠোঁটে,
সেই আগুন এখনোও জ্বলছে আমার সারা শরীরে।


কবি,
সেই আগুনে আমার সকাল বিকাল পুড়ে যাচ্ছে,
রাতের বেলায় নিঃসঙ্গ বিছানা পুড়ে,
কলের পানিও কেমন আগুনের মতো গরম হয়ে আছে,
চুলার গরম আগুন ও ভয় পায় আমার শরীরের আগুনকে,
যদি নিজের আগুনে নিজে পুড়ে মরে যাই,
তবে কার ঠোঁটে বিষাদ খুঁজবে তুমি?


কবি,
আমি তোমার প্রথম কবিতার কসম দিয়ে বলছি,
তুমি আর ভাংঙ্গা চাঁদের ‘মন মরা’ আলোতে বিষাদ খুঁজতে ঘর হতে বের হয়োনা না,
ভুল করে অন্য আরেকজনের কবিতা লিখে ফেলবে হয়তো।
আমি তোমাকে জোসনার ফকফকে আলোতে আমার শরীর খুলে সব বিষাদ তোমাকে দিব,
তুমি তখন খুশি মত তোমার কবিতা লিখো।


কবি,
তোমার আর দরকার নেই বিষাদে খুঁজতে ঘর থেকে বের হবার।


ভুল বিষাদে কবিতা হয়না কবি।


তোমারই  
মনোলীনা
—————
রশিদ হারুন
২৭/০৫/১৯