আমি ঠিকমতো মানুষ হতে পারিনি কখনোই ,
মানুষ আর টিকটিকির মাঝামাঝি একটা আশ্চর্যবোধক চিহ্ন হয়ে
ঝুলে আছি সারাজীবন ধরে জীবনের সাথে।


আমার কন্ঠে না আছে শব্দ
না আছে চোখের দৃষ্টি
আর বুকে নেই কোনো কবিতা।


দেওয়ালেরও কান আছে এই ভেবে নিজের মুখ নিজেই চেপে রাখি সারাক্ষণ এক গোপন ভয়ে,
ইচ্ছা করেই চোখ বন্ধ করে অন্ধ সেঁজে থাকি।


আমি নদীর জলে পা ভিজাই না মাছের ভয়ে,
আকাশের দিকে তাকিয়েও দেখিনা হারিয়ে যাবার ভয়ে;
পূর্ণিমার আলোতে বদ্ধ ঘরেই লুকিয়ে থাকি পুড়ে যাবার ভয়ে।
আমি মিছিলেও যাইনা নিজের সাথে দেখা হয়ে যাবার ভয়ে,
ভাতের স্বপ্ন দেখিনা ক্ষুধার ভয়ে।।


আমি সকল মানুষের কাছে আবেদন করছি,
-আমার মৃত্যুর পর দয়া করে
আমার কাফনে মোড়ানো শরীর থেকে
একজন  রশিদ হারুনকে যেনো টেনে হিঁচড়ে আলাদা করে বাকিটুকু কবর দেওয়া হয়।
রশিদ হারুন এখনো পুরোপুরি মানুষ হতে পারেনি,
মানুষ হলে আবার তাকে সেই কবরে নামিয়ে দিবেন।


আমার মৃত্যুর পর আমি এই সামান্য গণতন্ত্রটুকু কমসেকম
আপনাদের কাছে আশা করতে পারি।
————————
র শি দ  হা রু ন


১৬/১২/২০২০