রংবেরঙের কাগজ আর রঙিন বাতিতে তোমার বাড়িটা আজ সাজানো,
আর গলির মুখে রাজকীয় ভঙ্গিতে নির্মম অহংকার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটি বিয়ের গেট।


সকাল থেকেই মহল্লার আকাশে কালো মেঘ জমে আছে,
এই ঝরবে ঝরবে বলে অপেক্ষায়।


পরিচিত অপরিচিত মানুষজন হাসিমুখে ঢুকছে সেই বাড়িতে।
খুব উচ্চৈঃস্বরে সানাইয়ের আওয়াজে সবার কথাই আড়াল হচ্ছে।
চারিদিকে  বিরানির মৌমৌ গন্ধ বেহায়ার মতো আমাকেও ক্ষুধার্ত করে তুলছে!


বিয়ে বাড়ির কিছু রঙিন ছেঁড়া কাগজ
পড়ে আছে তোমার বাড়ির রাস্তায় রাস্তায়।


আমি কাঙালের মতো সেই বাড়ির
চারদিকে সকাল থেকে শুধু ঘুরছি আর ঘুরছি
মাঝে মাঝে হাসিখুশি মানুষ দেখছি,
দেখছি মানুষের জুতোর তলায় বারবার পিষ্ট হয়ে যাওয়া ছেঁড়া  রঙিন কাগজের হাহাকার।
হঠাৎ করেই ঝুম বৃষ্টিতে
সবাই দৌঁড়ে পালাল বৃষ্টির জল থেকে।


মনোলীনা,
আমি একা সেই জলে ভিজতে ভিজতে
বৃষ্টির কাছে শুধু প্রার্থনা করছি-
বৃষ্টি যেনো আরো বেশি করে জল ঝরায়,
হাসিখুশি মানুষগুলো যেনো আজ আমার কান্না বুঝতে না পারে।


জলে ভেজা চোখে তাকিয়ে আমার বাকি জীবনটা খুঁজে পেলাম তোমার বাড়ির মহল্লার সেই ভেজা রাস্তায় রাস্তায়।


তোমার বিয়েতে আশীর্বাদ করতে আসা
মানুষের জুতার তলায় পিষ্ট হওয়া জলে ভেজা ছেঁড়া রঙিন কাগজগুলো  
আর আমার বাকি জীবনটা এখন থেকে
-একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।
——————————
র শি দ  হা রু ন
১৯/০৭/২০২২