কি এক নিদারুণ হিসাবী হতে চেয়েছি সারাজীবন,
অথচ ব্যাংকের লকারে লুকানো
কার যেনো ‘দোষলাগা হাসি’র পিছনে
দৌড়াতে দৌড়াতে আমিই খরচ করে ফেললাম আমার-
‘সাতচল্লিশ বছর
অথবা সাতচল্লিশ কোটি বছর।


কতো বছর অথবা
কতো কোটি বছর আগে,
সে যে হেসেছিলো শুধুই আমার বুকে
না দেখা এক হাহাকারের দোষ লাগিয়ে,
আমি টেরও পাইনি।


এই পরতি বেলায় হাহাকারগুলো পাশে বসিয়ে প্রায়ই ভুল ঘুমের রাতে বারান্দায় বসে থাকি।
এক মধ্য বয়স্ক চাঁদের সাথে গল্প করতে করতে পিপাসার্ত হয়ে যাই এক সময়।
তখন গ্লাস ভরতি জলের সাথে মিশিয়ে নেই মধ্য বয়স্ক দোষলাগা হাসি’র ছায়া।
শেষ চুমকের আগে গ্লাসের জলে ভেসে উঠে আমার বেহিসাবী ‘সাতচল্লিশ মুখ’।


একসময় মাতালের মতো নেশা ধরে যায় বুকে, মনে আর মাথায়।
আমার ভুল ঘুমকে বিছানায় ঘুম পাড়িয়ে রাখি।
রাতেই সেই ব্যাংকের এটিএম বুথে চলে যাই।
গোপনে তুলে নেই মধ্য বয়স্ক কিছু খুচরো জীবন।
বুক পকেটে রেখে দেই সেই জীবন
বেহিসাবী খরচের জন্য।
ভুলে যাই খুচরো জীবনের হিসেব।


ঘোর লাগা মাথায় সেই অদ্ভুত রাতেই-
হাটতে হাটতে হঠাৎ করেই-
বুকের গভীর থেকে বেসুরে শিষ দিয়ে উঠি।
কাঁচা ঘুম থেকে জেগে উঠে মধ্য বয়স্ক চাঁদ।
বোকার মতো তাকিয়ে আমাকে দেখে।


চাঁদের দিকে তাকিয়ে আমিও মুচকি হাসি দিয়ে বলি,
“ভালোইতো লাগছে সাতচল্লিশের এই মধ্য বয়স্ক জীবন।
আহা জীবন,
চলো আমরা হেটে আসি আরো সাতচল্লিশ কোটি বছর”।
——————————————
রশিদ হারুন
২৪/১১/২০১৯