মনোলীনা,
আমার চাওয়া মত কিছুই হলো না এক জীবনে।
শৈশব কাটল বড়দের ঘড়ির পিছনে ছুটতে ছুটতে,
তবুও শৈশব গেল, সময় আটকানো গেলনা,
যে দিন থেকে অল্পতেই কষ্ট পেতে শুরু করলাম
মা, বললো “তুমি এখন বড় হয়ে গেছো”
আমি বড় হতে চাইনি কখনো।
আমি শৈশবের ঘড়িটাও কখনোই খুজে পেলাম না।
কৈশোর কাটল সাদা স্বপ্ন রঙিন করার
“না দেখা রঙ “ এর জাদুর বাক্স খুঁজতে খুঁজতে,
তারপর ঠিকই একদিন,
যাদুকর এর দেখা পেলাম,
যাদুর বাক্স খুলতেই দেখলাম সব রং লাল,
লাল রং এর উত্তাপ যখন
বুকের মধ্যে সব পোড়াতে থাকে,
কিশোর বুক তখন অভিমাণী হয়ে যায়।
অভিমানী কিশোর সব সময়ই
হঠাৎ করেই "একদিন যুবক হয়ে যায়"।
মনোলীনা,
তুমিই আমাকে অভিমান শিখিয়েছো
আমি কখনোই বুকের মাঝে
স্বপ্ন পুড়িয়ে অভিমানী হতে চাইনি।
আমার চাওয়া মত কিছুই হলো না এক জীবনে,
আমি কখনোই বিরহী হতে চাইনি,
আমি কখনোই শুধু নিজের ছায়ার বন্ধু হতে চাইনি।
সারা জীবনের হাহাকার দিগুন হয়্রে
যুবক বয়সে অস্থির চড়ুই পাখির মত
দিনরাত্রি বুকের মাঝে উড়তে উড়তে
আমাকে ঘুমোতে দিল না কোনদিন।
মনোলীনা,
আমার প্রথম অভিমান তুমি
আমার প্রথম বিরহ তুমি
আমার প্রথম কষ্ট তুমি
আমার প্রথম হাহাকার তুমি।
সারাজীবন জীবন বড়দের ঘড়ির পিছনে
অস্থির হয়ে ছুটতে ছুটতে
সময় দেখা হলো না আর কোনদিন
সময়ের মত তোমাকেও দেখা হলো না কোনদিন।
এক জীবনে জন্মের স্বাদ
এখনো ও বুঝতে না বুঝতে,
মরন মাঝে মাঝে
বন্ধ দরজার ও পাশ থেকে
ফেরিওয়ালা এর মত ডেকে উঠে
“ এই মরন লাগবে নাকি”
আমার ভয় হয়, ভুল করে মরন যদি কিনে ফেলি।
মনোলীনা,
তোমার একটি দীর্ঘ চুম্বনে
আমি এক জীবনের সব অভাব,
অভিযোগ ভুলে যাব,
এক জীবনের মাঝে তখন
অনেক জীবন খুঁজে পাব।
----------------------------------
জি, এম, হারুন অর রশিদ
০৩/০৩/২০১৭