জীবনের এই পড়তি বেলায়
অষ্পষ্টতার দোষ লেগেছে আমার বুকে-চোখে।  


অনেক কাল ধরে সময়-অসময়ে বুকে ভেসে বেড়াতো,
-একটি সাইকেল,
-এবড়ো থেবড়ো ধান ক্ষেতের দীর্ঘ আইল,
-একজন অস্থির কিশোর,
-মধ্য বিকেলে চিঠির অপেক্ষায় ঝাঁকড়া মাথার ছাতিম গাছের নিচে দাঁডিয়ে থাকা এক সদ্য কিশোরী।


এখন এই পড়তি বেলায় সব অস্পষ্ট হতে হতে
সেই কিশোরী হয়ে যায় এক বিষন্ন রঙ পোড়া ডাকবাক্স,
কিশোরটিও সে‌ই ডাকবাক্সের মধ্যে দিন দিন ক্রমশ অস্পষ্ট হচ্ছে নিঃঝুম ডুবসাঁতারে।


তাইতো পড়তি বেলায় আমার এ‌ই বুকের পাতা উপন্যাসের মত টেবিলে সাঁজিয়ে পড়তে বসলেই লেখা গুলো জলের মতো গড়িয়ে পড়া শুরু করে।
আবার সেই জল ধরার জন্যই দু’চোখ পেতে বসে থাকি সেই টেবিলেরই নিচে।
বুকের সেই জল চোখে ধরতেই সব অস্পষ্ট হতে শুরু করে।


জীবনের এই অস্পষ্টত দূর করতে এখন জ্বেলে দেই তীব্র আলো বুকের ভিতরে,
পেয়ে যাই সেই কিশোরীর প্রতারিত হওয়া স্পষ্ট দু’টি বিবশ চোখ।
ছাতিম ফুলের পাগলা গন্ধ তখনো লেগে আছে সেই দুই চোখে।


রাতের পর রাত এখন অঘুমে কাটে সে‌ই বিবশ দু’টি চোখে চোখ বুলাতে বুলাতে,
সেখানে শুধু স্পষ্ট খুঁজে পাই আমার
—অপৌরূষত্ব আর অন্ধ অহং।
————————————
র শি দ   হা রু ন
০৯/১০/২০২০