বাবার মৃত্যুর পর
তার পুরোনো একমাত্র হাতঘড়িটা
বহু বছর ধরে পড়েছিল মায়ের কাঠের আলমারিতে।
ঘড়িটার চাবিতে অনেককাল ধরে দম না দিতে দিতে বিকল হয়ে  গেছে।
আমি কিছুতেই পারলাম না ঘড়িটা চালু করতে,
এমনকি কোনো ঘড়ির কারিগরও পারলো না।
যেভাবে পারেনি সেদিন কোনো ডাক্তার
বাবার অচল বুকটা সচল করতে।


আমি এখন দুহাতে দুটো ঘড়ি পরি।
একটি সচল আর তার সাথে বাবার বিকল ঘড়িটা।


আজকাল সময় পেলেই
আমি বাবার ঘড়িটার কাঁটার দিকে তাকিয়ে থাকি দীর্ঘক্ষণ ধরে,
যদি হুট করে কোনো একদিন
বিকল ঘড়িটার কাঁটা চলতে শুরু করে
-সেইদিন আবার যত্ন করে ঘড়িটা মায়ের কাঠের আলমারিতে রেখে দেবো।


যখনই কেউ আশ্চর্য হয়ে জানতে চায়
-দু’হাতে দুই ঘড়ি কেনো পরি?
কী উত্তর দিবো?
আমি জানি না!
সত্যি আমি জানি না এর উত্তর।


আমি শুধু একটি সত্যি জানি
-এটা আমার মৃত বাবার হাতঘড়ি।
————————
র শি দ  হা রু ন
০৩/১২/২০২০