বাবার ব্যবহৃত অনেকগুলো পাঞ্জাবি স্বজনহারা হয়ে শুয়ে আছে আলমারিতে।
বাবা চলে যাওয়ার পর মাঝে মাঝে-
আমি আর মা দুজনেই লুকিয়ে গল্প করি তাদের সাথে।


শুক্রবার আসলেই এক অদ্ভুত সমস্যা হয়-
বাজার সদাই করে দেরি হয়ে যায় সব সময়।
তাড়াহুড়া করে মসজিদে দৌড়াই ছেলেকে নিয়ে জুম্মার নামাজ পড়ব বলে।


প্রতিবারই কিভাবে যেনো একই ভুল করে
ফেলি!!
বাবার কোন না কোন পাঞ্জাবি ঘুরে-ফিরে পরে ফেলি।
মা কখন যে আবার ধুয়ে আয়রন করে রেখে দেয় একই জায়গায়-
টেরও পাইনি কখনো।


মসজিদে নামাজ শেষে ছেলে একদিন বলল-
“বাবা তুমি ইচ্ছে করেই দাদুর পাঞ্জবিগুলো পরো-
যেনো তোমাকে দাদুর মতো দেখায়।”


মসজিদের দেয়ালে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মনে মনে বললাম-
“তোকেও মাঝে মাঝে আমার মতো লাগে,
যখন তোর দাদুর পাঞ্জাবিগুলো পরি।”


নামাজ পড়ে যখন বাড়ি ফিরি-
মা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে সব সময়।
আমার মনে হয় মা আমার জন্য নয়
হয়তো বাবার জন্যই দাঁড়িয়ে থাকে-
প্রতি জুম্মার পর গত পনের বছর যাবত।


————————————————
রশিদ হারুন
১৯/০৪/২০২০