পরিচিত শহরটা দিনেদিন কেমন অচেনা হয়ে যাচ্ছে,
বন্ধু মানুষগুলোকেও অ-বন্ধু মনে হয় আজকাল,
যে পুর্নিমার চাঁদ বুকে নিলে বুকে আরাম পেতাম,
সেই চাঁদের আলোতেই এখন বুক ঝলসে যায় রাত হলেই,
ঘুমকাতুর অপবাদ নিয়ে বড় হয়েছি সারাজীবন,
অথচ সেই আমিই এখন মুঠো মুঠো ঘুমের ঔষুধেও নিদ্রাহীন।


স্বপ্নেও চুম্বন করেছি যতোবার
ওষ্ঠ পুড়ে ছাই হয়েছে ততোবার,
যখনই কল্পনায় তার নাভির দেয়ালে
মাকড়সার মতো বিছানা পেতেছি,
পিছলে পড়েছি মাটিতে নির্মম ভাবে।


কবি বলেছিলেন,
প্রেমে পড়ে যে জ্বলবে না, পুড়বে না,
অ-ঘুমে কাটাবে না সে প্রেমেই পড়েনি।
আমার তাই মনে হয়,
বোধহয় আমি প্রেমে পড়েছিলাম কোন এক নারীর।


অথচ আমার বলাই হলো না তাকে,
আমার এই জ্বলে যাওয়া, পুড়ে যাওয়া
আর নিদ্রাহীনতার কবিতা।


বলা হলো না,
বলা হলো না তাকে-
আজকাল রাঁধতে গেলেই আমার ভাত পুড়ে যায় অহরহ,
আচ্ছা বলে ফেলা কি এতোই কঠিন?
পাখির না হয় কথা বলা কঠিন
মানুষতো আর পাখি না,
সমুদ্র ভেঙে গেলো বুকে
তবুও মুখে শব্দ আসেনি।


তারপর তাকে লিখতে গিয়েও
‘প্রিয়’ বানান ভুল করে ‘প্রীয়’ লিখেছিলাম,
‘ভালোবাসি’ লিখতে গিয়ে ‘ভালবাসী’ লিখেছিলাম,
আমার আর কি দোষ,
যার রাঁধতে গেলেই ভাত পুড়ে
তারতো বানান ভুল হবেই।


আমার প্রথম প্রেমের চিঠিতে দু’টি বানান ভুল ছিলো।
—————————
০২/১২/১৮
রশিদ হারুন