মনোলীনা,
দোতলা বাড়িটি আজ তোমারই জন্য এতো অহংকারী।


কিছুদিন আগেও ওয়াসা গলির ১০৭/এ বাড়িটি ছিলো চরম নিরংহকারী,
বাড়ির দাড়োয়ান আমাকে দেখলেই সালাম ঠুকতো হাসিমুখে।
শিকলে আটকানো কুকুরটাও লেজ নেড়ে অভিবাদন জানাতো তখন।
দোতালার বারান্দা ঘেঁষে দাড়ানো নারিকেল গাছটা কুর্নিশ ভঙ্গিতে ছিলো আজীবন।
বাতাস এই বাড়ির সীমানায় আসলে স্হির  হয়ে যেতো।
বাড়ির আশ্রিত বিড়ালগুলো পাশের বাসার জানালা দিয়ে চুরি করে খাবার খেতো।
আর আমি বুকে তীব্র অহং নিয়ে বাড়িটিকে
করুনা করতাম।


মনোলীনা,
যেদিন থেকে তুমি এই বাড়িতে উঠলে,
তারপর থেকেই বাড়ির দাড়োয়ান আমাকে আর লক্ষ্যই করেনা,
কুকুরটা কামড়াতে আসে দেখলেই,
নারিকেল গাছটা একেবারে বুক টান টান করে দাড়িয়ে গেছে।
বিড়ালগুলো আয়েসি ভংগিতে সারাদিন
বারান্দায় ঘুমি্য়ে থাকে।
বাতাস অস্হির হয়ে সারাদিন তোমার জানালার পর্দায় আছড়ে পরে,
আর আমি ভিখারীর মতো অপেক্ষায় থাকি পর্দার আড়ালে একবার যদি তোমার দেখা পাই।


মনেলীনা,
তুমি পাশে থাকলেই সবাই কেমন যেনো অহংকারী হয়ে উঠে,
এমন কি প্রাণহীন একটা দোতালা বাড়িও।
————————
রশিদ হারুন
১৮/০৫/২০১৯