মনোলীনা,
আমার ঘরের সব আয়না তুমি নিয়ে গেছো তোমার সাথে করে !
সে‌ই কবেই।


অনেকদিন ধরে নিজের চেহারা না দেখলে বোধহয় মানুষের অন্য কারো চেহারাই আর ভালো লাগেনা।
আমার এখন আর কোনো মানুষের মুখই সহ্য হয়না।


মনোলীনা,
আলসেমিতে ভুলতে বসেছি প্রায় সবই!
তবুও সকালে এককাপ গরম দুধ-চা এখনও নিজে‌ই বানিয়ে খাই।
তুমিও আমার হাতে বানানো সকালের এই চা’টা খুব পছন্দ করতে।


এখন প্রতিদিন সকালে চা খেতে গেলেই তোমার কথা মনে পড়ে।
তোমার চেহারাও দিনদিন বুক থেকে ঝাপসা হয়ে অনেকটা ভুলতে বসেছি!
তুমিও কি বলতে পারবে
–আমাকে এখন কেমন দেখায়?


মনোলীনা,
যদি কোনোদিন সকালে তোমার হঠাৎ করেই
আমার হাতে বানানো এককাপ গরম চা খেতে খুব ইচ্ছে করে;
তখন তবে একবার ডেকো।
তোমার মতো ফোন নাম্বার বদলাইনি আমি,
আমাকে আগের নাম্বারেই পাবে।
আমার নিজেকেও খুব দেখতে ইচ্ছে করছে কয়েকদিন ধরে,
চায়ের বিনিময়ে আমি না হয় একটা আয়না চেয়ে নেব তখন।


মনোলীনা,
মানুষ হিসেবে আমি হয়তো খুব নিম্নমানের ছিলাম,
তবে তোমার জন্য আমার হাতে বানানো সকালের এই চা
এখনো শহরের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা মাখানো।
আমার বানানো সকালের এই চা না খেয়ে তুমি কিভাবে থাকো এই শহরে?
তুমি ভালো আছোতো?


মনোলীনা,
আমি না হয় আর কোনোদিন নিজের সাথে দেখা করবো না,
সকালের এই চা ছাড়া
তবুও তুমি অন্তত ভালো থেকো।
—————————————
র শি দ  হা রু ন
১৬/০৯/২০২০