প্রিয় মনোলীনা,
আমার বোধহয় খুব তাড়াতাড়ি মরে যাবার শখ হয়েছে,
এই শহরের চাঁদও হয়েছে বড়ই বিশ্বাসঘাতক।
তা না হলে এই ঘুমিয়ে যাওয়া চাঁদকে জাগাতে -
কেউ এভাবে প্রতিদিন গভীর রাতে নিয়ন বাতির বোবা আলোতে নিজেকে ভিজায়।
বোবা আলোতে ভিজতে ভিজতে শরীরে এখন অসুখে ধরেছে।
এই শহরের বিশ্বাসঘাতক চাঁদটা আমার বুকে দিয়েছে-
‘এক মুঠো বিষন্ন অসুখ’।


মনোলীনা,
অসুখ হলেই-
আমার ছায়াও কাঁদতে বসে বিলাপ করে।
তাইতো সারারাত ঘুমিয়ে যাওয়া বিশ্বাসঘাতক  চাঁদকে জাগাতে চাই,
শুধু দু’জনের আবছায়া খুঁজতে।
এই শহরের সব অলিগলিতে হেটে বেড়াই,
যেখানে বিশ্বাসী চাঁদের আলোতে দু’জনের
ছায়া কাটাকুটি খেলেছিলো কোনো একদিন।
আর ঘাসের উপড় পড়েছিলো দু’টি ছায়ার দীর্ঘশ্বাস।
খুঁজে পাইনা তাদের অনেকদিন হলো।
তবুও নিয়ন বাতির বোবা আলোতে ভিজি আর খুঁজি।


মনোলীনা,
তুমি কি জানো?
আজকাল রাতের রিকশা ভাড়া খুব বেশী বেড়ে গেছে?
তাই আর রাতের রিকশায়  উঠা হয়না।
আমি হাটতে হাটতে ক্লান্ত হয়ে হয়ে যাই প্রতিবারই।
তোমার বাড়ী পৌঁছাতে পৌঁছাতে ভোর হয়ে যায়।
পাগলা ষাড়ের মতো সূর্যটা আগলে দেয় তোমার গলি।


মনোলীনা,
আমার ঠিকানাটা ভুলে যাওনিতো?
আগের ঠিকানাই থাকি,
যদি তোমারও আবারো ছায়ার কাটাকুটি খেলতে ইচ্ছে জাগে কখনো,
তুমি এসো আমার বাড়ীতে
সময় করে আমাকে একজন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেও।
ভালো লাগেনা বুকে এই বিষন্ন অসুখ।
—————————————
রশিদ হারুন
১৯/১১/২০১৯