চায়ের কাপ’টার গায়ে তার লিপস্টিকের দাগটা এখনো রয়ে গেছে ,
হাল্কা হয়ে কমলার দিকে যাচ্ছে লাল রং এর দু’ঠোঁটের দাগটা,
তবুও প্রতিদিন সকালে নাস্তা খাওয়ার সময়
এই খালি কাপ’টাই আমার চোখের সামনে
কি ভাবে যেনো চলে আসে!!
ছুয়ে দেখবেনা,দেখবেনা বলে,
চোখ ফিরিয়ে অন্যদিকে তাকাই,
একেবারে শেষ মুহূর্তে টেবিল থেকে উঠে যাবার আগে,
সেই খালি কাপ’টাই কখন যে,
আমার হাতে উঠে আসে, সেটাই বুঝিনা,
ঠোঁটটা ছুয়ে ধরে রাখি কিছুক্ষন লিপস্টিকের দাগটার ঠিক উপরে,
আগের মতোই জ্বলে যায়,পুড়ে যায়,
প্রথম চুম্বনের মতোই,
সেই প্রথম বার তার ঠোঁটে ঠোঁট ছোয়ার মতোই।


এমনতো হওয়ার কথা নয়,
সে কি ইচ্ছে করেই লিপস্টিকের দাগটা রেখে
গিয়েছিলো আমার ঠোঁট পুড়াতে!!


ডিভোর্স লেটারে সিগনেচার করার জন্য প্রতিদিনই সকালে ফোনে তার উকিলের ম্যাসেজ আসে,
আমি সব সময় একই ম্যাসেজ পাঠাই,
“আজ দুপুরের মধ্যেই সিগনেচার করে দিয়ে যাবো”।


এই লিপস্টিকের দাগটাই যতো নষ্টের মুল,
আমার ঠোঁট দু’টো পুড়ে যায় প্রতিদিনই সকালে,
তারপর শরীরে তীব্র জ্বর উঠে বুকের ভিতরে বাষ্প জমে,
জ্বর উঠলেই আমি মোবাইল ফোন বন্ধ করে দরজা জানালার পর্দা টেনে লুকিয়ে থাকি,
আমাকে কেউ যেনো আর খুঁজে না পায়।


লিপস্টিকের দাগটা আমাকে কখনোই তার উকিলের কাছে যেতে দিবেনা ।
—————————————
রশিদ হারুন
২৪/১২/১৮