দিন রাত যখনই তোমার বাড়ির দিকে রওয়ানা হই
তখনই ঠিক মাথার উপর দিয়ে কোথা থেকে একটা পাখি উড়তে শুরু করে!
আশ্চর্য হয়ে প্রতিবারই দেখি
সেই পাখিটার ছায়াও উড়তে থাকে আমার চলন্ত ছায়ার উপর।
তারপর ধীরে ধীরে ছায়া দুটি এক হয়ে যায়,
একসময় কোনোমতেই আলাদা করা যায় না
-কোনটা পাখির ছায়া আর কোনটা মানুষের।


যতই তোমার বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছাই-
ততই আমারই বুকের মাঝে
আমি একজন পরিচিত মানুষ থেকে একটি ‍অচেনা পাখি হতে শুরু করি।
তখনই সারাজীবনে কিপটেমি করে বুকের মাঝে জমিয়ে রাখা
আমার মানুষ জীবনটা
বেহিসাবীর মতো উড়তে শুরু করে চারিদিকে।


এই যে বুকের আড়ালে লুকিয়ে রাখা-
বালকবেলার একটি রঙিন শার্ট,
আস্ত একটা নদী,
শহরময় দাবড়িয়ে বেড়ানো একটা দোতালা রঙচটা বাস,
স্কুল ছুটির পর গেটে দাঁড়িয়ে থাকা
একজন কিশোর কুলফি আইসক্রীমওয়ালা,
গ্রামের কবরস্হানে জ্বলে থাকা কিছু জোনাকি পোকা,
গোলাপ ফুল আঁকা একটি টিনের সুটকেস,
একটি রোদ চশমা,
একটি বাই সাইকেল,
সবই উড়েতে থাকে আকাশে।


তুমি যখন টকটকে নীল শাড়ি পরে বাড়ির দরজা খুলে আমার দিকে মাত্র একবার তাকাও
তখন কী যে হয়!
সবই আবোল তাবোল হয়ে যায় এই বুকে।


সারাজীবন কিপটেমি করে বুকের মাঝে জমিয়ে রাখা আমার জীবনটার আর কিছুই থাকেনা আমার জন্য,
সব শূন্য হয়ে যায় চোখের পলকে।
তখন বুকের  ভিতর হাতরে শুধু পাই
গরম বাতাসে ভেসে বেড়ানো
-তোমার জন্য আমার একটা জ্বলন্ত প্রেম।
———————
র শি দ  হা রু ন
২৮/০৫/২০২২