যদিও তোমার শরীর থেকে একশ মাইল বা তারচেয়ে বেশী দূরত্বে আমার বসবাস।


তবুও এমন হয় কেনো!!
-কি রকম?-


তোমার মোবাইলের ম্যাসেন্জারের সবুজ বাতিটা জ্বলতে দেখলেই-
আমার শরীরের ভিতরে প্রথমে একটা অগ্নি পুকুর তৈরী হয়।
সেই অগ্নি পুকুরে কোত্থেকে
এসে একটা রাজহাঁস অনবরত সাঁতরায় আর সাঁতরায়।
তারপর বলা নেই কওয়া নেই-
দুম করেই তার পালক ঝরতে থাকে একটা একটা করে।
আবার সেই পালক নতুন করেও জন্মায়।
এক সময় সেই অগ্নি পুকুর শুধু ভরে যায় রাজহাঁসের ধূসর পালকে পালকে।


আর যদি সবুজ বাতিটা অনন্তকালের জন্য ঘুমিয়ে থাকে তবুও এমন কেনো হয়!!


তাহলে কি হয়?-
সব কি তুমি বুঝবে?
আমিওতো নিজেই বুঝিনা!!


যদিও সেখানে লেখা থাকে
‘’একটিভ ওয়ান আওয়ার এগো’-
তবুও আমাকে সেই মোবাইলের দিকেই তাকিয়ে বসে থাকতে হয় কয়েক কোটি ঘন্টা ধরে।
আবারও আমার শরীরের ভিতরে প্রথমে একটা অগ্নি পুকুর তৈরী হয়।
সেই অগ্নি পুকুরে কোত্থেকে
এসে একটা রাজহাঁস অনবরত সাঁতরায় আর সাঁতরায়।
তারপর বলা নেই কওয়া নেই-
দুম করেই তার পালক ঝরতে থাকে একটা একটা করে।
আবার সেই পালক নতুন করেও জন্মায়।
এক সময় সেই অগ্নি পুকুর শুধু ভরে যায় রাজহাঁসের ধূসর পালকে পালকে।


-বাহ্, একইতো হলো!!-


তোমার শরীর যতই দূরতম হোক-
তোমার কথা ভাবলেই আমার শরীর-মনে সব সময় একই রকম হয়।
——————————————
রশিদ হারুন
১০/১২/২০১৯