পাঠকগন, আমাকে ভুল বুঝবেন না,
আমাকে ক্ষমা করবেন,
আজ আমি সত্য স্বীকার করতে এসেছি।


আমি গন্ড মূর্খ,
অ, আ, ক, খ কিছুই চিনিনা,
লিখতে, পড়তে কিছুই জানিনা
আমি কবিতা লিখবো কি ভাবে?
কবিতা কখন যে আমাকে লিখে ফেলে
আমি নিজেও জানি না।


অথচ, আমি যখনই একটা আকাশের কথা ভাবি,
তখনই একটা আকাশ ,
আমার বুকের মাঝে ভাসতে থাকে,
তারপর সেই আকাশে নীল রং এর পাখি উড়ে,
সুঁতো ছিড়ে যাওয়া ঘুড়ি উড়ে,
রোঁদ ভাসে খেয়াল খুশি মতো,
উদাসী চাঁদ একাকী মন খারাপ করে
ঘুরতে ঘুরতে মেঘের আড়ালে লুকায়,
তারপর কেনো যেনো বুকের আকাশটা
প্রচন্ড বিরহী হয়ে যায়,
তখন আমার কিছুই করার থাকেনা।
তারপর প্রচন্ড ঝড় শুরু হয় বুকের মাঝে,
ঝড় থামলে সুখ ভুলানো বৃষ্টি শরু হয় বুকে।


বৃষ্টির জলে প্রথমে ডুবে আকাশটা,
তারপর সম্পূর্ন বুকটা,
তারপর বুকের জল উঁপচে যখন ,
মনের জমিনে পরতে থাকে,
প্রতিটি জলের ফোঁটায় ফোঁটায়
একটি করে শব্দ তৈরী হতে থাকে,
তারপর সমস্ত জমিন একসময় শব্দে ভরে যায়।


আমি গন্ড মূর্খ,
লিখতে ,পড়তেই জানিনা
যারা পড়তে জানেন, তারা বলেন
মনের জমিনের শব্দগুলো পড়তে শুরু করলে
আস্ত কবিতার মতো মনে হয় ।


“কবিতা আমাকে কখন যে লিখে ফেলে
আমি নিজেও জানি না”।
-----------------
রশিদ হারুন
৩০/০১/১৮