তোমাকে দেখেই আমার রাগটা মাথায় চড়ে বসল,
তোমার লাল ঠোঁটটা ফোলাফোলা লাগছে;
আর ধবধবে সাদা গলায় বেগুনী দাগ-
নখের আঁচড় মনে হচ্ছে,
কারো ঠোঁট চেপে ধরার দাগও হতে পারে।


রাস্তায় দাঁড়িয়েও দোতালার বারান্দায় তোমাকে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।
সদ্য গোসল সেরে কাপড় নাড়তে বারান্দায় গুণগুণ করে মনের আনন্দে সুর ভাজছিলে,
আমাকে এক ঝলক দেখেও না দেখার ভান করলে!


তোমাকে কতবার বুঝিয়েছিলাম,
এই বেখাপ্পা লম্বা দারোয়ানের মতো বড়ো বড়ো গোঁফওয়ালা, বিদঘুটে  কালো লোকটাকে বিয়ে না করতে,
তোমাকে এই জীবনেও বুঝবেনা সে;
আদর যত্নে রাখবে না একটুও মুহূর্তের জন্য।


দেখ এখনই কী অবস্থা,
তিনদিনও হয়নি!
এখনই ঠোঁট-গলা কামড়ে কী একটা বিশ্রী অবস্থা করেছে তোমার!
আমার কেনো যে মনে হয়
-এই অবস্থায় তোমাকে আবার হাসিমুখে গুণগুণ করে
গান গান গাইতে বাধ্য করছে লোকটি!


মনোলীনা,
আমি জানি
তুমি সুখে নেই,
আমাকে ছাড়া তুমি কীভাবে সুখে থাকবে?
সাহস করে দোতালা থেকে নেমে আসো,
আমি তোমাকে নিয়ে পালিয়ে যাবার জন্য তিনদিন ধরে মহল্লায়
তোমার বাড়ির নীচে দাঁড়িয়ে আছি।


গোল্লায় যাক এই মহল্লা,
গোল্লায় যাক এই ঢাকা শহর,
গোল্লায় যাক তোমার বিয়ে, সংসার।


চলো আমরা ঢাকা শহর ছেড়ে ‌অন্য শহরে চলে যাই।
আর যদি তুমি যেতে না চাও
তাহলে তুমিও একদিন গোল্লায়ই যাবে,
‘মনোলীনা’
মনে রেখো,
আমাকে ছাড়া তুমি সত্যি সত্যি  একদিন গোল্লায় যাবে।
———————
র শি দ  হা রু ন
১১/০৭/২০২২