মনোলীনা,
এ কেমন শহরে থাকো তুমি,
আমার আকাশ থেমে যায়,
রাজপথের যানজটে বাসের সিটে।
বাসের জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকতে থাকতে,
আকাশকে মনে হয় মরা নদী,
এতো মানুষের ভীড়ে
মেঘের গায়েও লেগে যায় শরীরের গন্ধ।


মনোলীনা,
প্রচণ্ড ইচ্ছে করে দৌড়ে
আমার আকাশটা কে সচল করে দেই,
এই শহরে মানুষের শরীরে শরীর লেগে
তৈরী হয়ে গেছে অদৃশ্য দেয়াল,
আটকে দেয় আমাকে,
আটকে দেয় আমার আকাশ,
চারিদিকে এতো মানুষ আর যানজটের তীব্র চিৎকার
আমাকে বিরহী করে, তীব্র বিরহী,
এই শহরের মানুষ
অন্য কারো আকাশের কথা জানতে চায়না।


মন্যোলীনা,
একজনও আমাকে ডেকে একবারও জানতে চায়না
বাসের জানালা দিয়ে
আমি কেনো শুধু আকাশ দেখি?


মানুষতো জানেনা একই সময়ে
তুমিও তোমার আকাশ দেখছো আমার মতো,
অন্য কোনো সিগন্যালে আটকে থেকে
বাসের জানালা দিয়ে।


আমার খুব ইচ্ছে করে চিৎকার করে বলে উঠি
আমার আকাশটা কে একটু
“মনোলীনা”র আকাশটা ছুতে দাও।


মনোলীনা,
তবুও আবেগহীন এই শহরে  বারবার ফিরে আসি
আমি তীব্র বিরহী হতে,
আর বৃষ্টির জলে ভিজতে,
আমি বাসের জানালা দিয়ে
তাকিয়ে থাকি আকাশের দিকে,
আর অপেক্ষায় থাকি
আকাশ কখন আমার বিরহে একসময়ে কেঁদে উঠবে,
ঝরবে মায়াবী বৃষ্টির ফোঁটা ।
যে জলে মিশে আছে মানুষের শরীরের গন্ধ।
আমি ঠিকই খুঁজে নেবো বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা
যেখানে থাকবে শুধু তোমারই শরীরের গন্ধ।


মনোলীনা,
এ কেমন শহর?
তোমার শরীর এর গন্ধ এর জন্য
আমাকে  বৃষ্টির কাছে হাত পাততে হয়।
------------------------------------------------------
জি, এম হারুন অর রশিদ
২৭/০৭/২০১৭